আগুন নেভানোর চেষ্টায় দমকল নিজস্ব চিত্র।
চারপাশে ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। নীচে নামতে গিয়ে আবিষ্কার করলেন বন্ধ লিফট। সেই মুহূর্তে মনে ধৃতিমানের বুক কেঁপে উঠেছিল। বেরোতে পারবেন তো! মঙ্গলবার দুপুরে এই ভয়ানক অভিজ্ঞতা হয়েছে বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্মী ধৃতিমান মণ্ডলের। মঙ্গবার দুপুরে পার্ক স্ট্রিটের যে বাড়িতে আগুন লাগে সেই এপিজে হাউসের আটতলায় তাঁদের ব্যাঙ্কের অফিস।
সঙ্গী সীমা সরকারকে নিয়ে আটতলার অফিস থেকে নীচের তলায় খেতে নেমেছিলেন ধৃতিমান। উপরে ওঠার আগেই বুঝতে পারেন আগুন লেগেছে। তখনই সিড়ি দিয়ে তরতর করে নেমে আসতে থাকেন। কোনও ক্রমে বাইরে বেরিয়ে আসেন তাঁরা। ধৃতিমান বলেন, ‘‘ফায়ার অ্যালার্ম শুনে আমরা নীচে হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছি। মনে হল যেন দ্বিতীয় জন্ম হল।’’
মঙ্গলবার দুপুর বেলা ২টো ৫০ নাগাদ ধোঁয়া বেরোতে দেখেন ওই দফতরের নিরাপত্তা কর্মী। সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার অ্যালার্ম বাজানো হয়। লকডাউনের জন্য বেশির ভাগ অফিস বন্ধ থাকলেও খোলা ছিল তাঁদের বেসরকারি ব্যাঙ্ক।
আগুন নিয়ন্ত্রণে ল্যাডার-সহ দমকলের ১২টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যায়। মন্ত্রী ও পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম ঘটনাস্থলে গিয়ে বলেন, ‘‘ওষুধ কোম্পানির অফিসে আগুন লাগে। হতাহতের কোনও খবর নেই।’’ ঘটনাস্থলে বেশ কিছুক্ষণ ছিলেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। দমকলের প্রায় দেড় ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।