বিমানবন্দরের কাছে কৈখালির কারখানায় আগুন। শনিবার। নিজস্ব চিত্র
বিধ্বংসী আগুনে ভস্মীভূত কৈখালির রঙের কারখানা। শনিবার সকালে কৈখালির ওই রঙের কারখানায় আগুন লাগে। কারখানায় প্রচুর রাসায়নিক পদার্থ মজুত থাকায় লহমায় ছড়িয়ে পড়ে আগুন। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় এলাকা। কারখানাটি বিমানবন্দর লাগোয়া হওয়ায় বাড়ে দুশ্চিন্তা। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে এনডিআরএফ-কে খবর দেওয়া হয়। এনডিআরএফ-এর দলও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে।
ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন নেভাতে সমস্যায় পড়েছেন দমকল অধিকারিকেরা। ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যেই পৌঁছেছে দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন। আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসে বেলা ১টার পর।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রঙের কারখানার কাছেই রয়েছে হোসিয়ারি দ্রব্য তৈরির কারখানাও। ফলে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে না এলে উদ্বেগ আরও বাড়বে। আগুন লাগার পরই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বন্দরের মধ্যে থেকেই অগ্নিনির্বাপন যন্ত্র ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।
খবর পেয়ে এলাকায় হাজির হয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক অদিতি মুন্সিও।
আনন্দবাজার অনলাইনকে অদিতি বলেন, ‘‘আগুন কিছুটা আয়ত্তে এসেছে। তবে পুরো নিয়ন্ত্রণে আসতে সময় লাগবে। এলাকার মানুষ চেষ্টা করছেন। দমকলও চেষ্টা করছে। রঙের কারখানার বিপুল ক্ষতি হয়েছে। তবে কী থেকে আগুন, এখনই বলা যাচ্ছে না। এখনও পর্যন্ত হতাহতের খবর নেই। দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু প্রচুর সাহায্য করেছেন।’’
শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে যান সুজিত। ততক্ষণে আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। যে ভাবে ধোঁয়ায় ঢেকেছে গোটা এলাকায়, তাতে বিমান চলাচলে সমস্যা হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।