প্রতীকী ছবি।
দীর্ঘদিনের অপেক্ষার পরে শেষ পর্যন্ত দত্তাবাদে পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছল। তবে শুধুই দত্তাবাদ নয়, পাশে পূর্বাচল আবাসনের একটি অংশেও ওই পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ হবে। এর ফলে প্রায় কয়েক হাজার মানুষ উপকৃত হবেন বলে দাবি বিধাননগরের পুরকর্তাদের।
সম্প্রতি দত্তাবাদের ভূগর্ভস্থ জলাধারে জল পৌঁছে গিয়েছে। ওই জলাধারে জলের মিটারও বসানো হয়েছে। নিউ টাউন জলপ্রকল্প থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে সেই জল সরবরাহ করা হচ্ছে।
দত্তাবাদে পরিস্রুত পানীয় জলের জন্য মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। রাজ্য সরকার নিউ টাউনে জল প্রকল্প গড়ে তোলে। সেখান থেকেই জল সরবরাহ করা হচ্ছে। পুরসভা সূত্রের খবর, দত্তাবাদের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে প্রায় ১০ হাজার ২৮০টি ঘর রয়েছে। তার মধ্যেই প্রায় হাজার দু’য়েক বাড়িতে জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। বাকি অংশে মূলত রাস্তার ধারে কল বসিয়ে জলের সরবরাহ করা হচ্ছে।
বিধাননগর পুরসভার জল সরবরাহ দফতরের এক আধিকারিক জানান, পরিস্রুত পানীয় জল দত্তাবাদে ভূগর্ভস্থ জলাধারে এসে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়েছে। কিছু কাজ বাকি রয়েছে। ফলে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে। তার পরেই পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহের কাজ শুরু হবে।
তবে বিধাননগর পুরসভার জল সরবরাহ দফতরের একাংশের কথায়, রাস্তার ধারের কল থেকে সরবরাহ করা জল যাতে অপচয় না করা হয় সে দিকেও খেয়াল রাখা প্রয়োজন।
বিধাননগর পুরসভার এক আধিকারিক স্বপন মৈত্র জানান, ওই পরিস্রুত পানীয় জল দত্তাবাদ এবং পূর্বাচল আবাসনের একাংশে সরবরাহ করা হবে। ওই জলাধারে ১ লক্ষ ২০ হাজার গ্যালন জল ধরার ক্ষমতা রয়েছে। দিনে ২ বার জল পৌঁছবে জলাধারে। প্রয়োজনে অতিরিক্ত আরও একবার জল সরবরাহ করা হতে পারে ওই জলাধারে। সেখান থেকে দিনে ৩ বার দত্তাবাদে জল সরবরাহ করার কথা। প্রয়োজনে রাতে এক ঘণ্টা জল সরবরাহ করা হতে পারে।
স্থানীয় ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্মল দত্ত জানান, জলের অপচয় যাতে না হয় সে দিকে নজর রাখা হবে।বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ (জল সরবরাহ) বীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, ‘‘দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে বিধাননগর পুর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় পরিস্রুত পানীয় জলবরাহ করা হবে।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদেরYouTube Channel - এ।