অফিসের ব্যস্ত সময়েও আশানুরূপ ভিড় হয়নি। ছবি: পিটিআই।
কোভিড আবহে নানাবিধ বিধিনিষেধের কারণে তেমন ভিড় যে হবে না, তা জানা ছিল। কিন্তু সোমবার দুপুর পর্যন্ত যত সংখ্যক যাত্রী নিয়ে মেট্রো চলল, ততটা কম আশা করেননি মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
মেট্রো হিসেব দিয়েছে, সোমবার সারা দিনে নোয়াপাড়া-দমদম-কবি সুভাষের মধ্যে প্রায় ২০ হাজার যাত্রী চলাচল করেছেন। তা থেকে আয় হয়েছে ১১ লক্ষ ১৯ হাজার ২৫৫ টাকা। লকডাউনের আগে প্রতি দিন ৬ থেকে ৭ লক্ষ যাত্রী মেট্রোয় যাতায়াত করতেন।অন্য দিকে, ইস্ট-ওয়েস্টে এ দিন সওয়ারি হন মাত্র ৮৩ জন। তা থেকে আয় হয়েছে ৬ হাজার ৬১০ টাকা। এমনকি অফিসের ব্যস্ত সময়েও আশানুরূপ ভিড় হয়নি। মেট্রো কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রথম দিন বলেই হয়তো ভিড় এত কম হয়েছে। এর থেকে বেশি সংখ্যক যাত্রী তাঁরা আশা করেছিলেন। যাত্রী সংখ্যা কম থাকায় মেট্রো পরিষেবা দিনভর ১৫ মিনিট অন্তর দেওয়া হয়।
অথচ যে অ্যাপ থেকে ই-পাস মিলছে, রবিবার রাত থেকে সেখানে অন্তত ৪৫ হাজার লগ-ইন হয়েছে। কী ভাবে ই-পাস সংগ্রহ বা স্লট বুক করতে হয়, তা দেখা হয়েছে। ই-পাস বুক করার পদ্ধতি সংক্রান্ত ভিডিয়োটিও দেখেছেন প্রায় ৫ লাখ। এই তথ্য থেকেই মেট্রোকর্তাদের ধারণা, প্রথম দিন বলেই যাত্রীরা একটু দেখে নিতে চেয়েছেন। কিন্তু আগ্রহ রয়েছে তাঁদের। আগামী কয়েক দিনে আরও অনেক বেশি যাত্রী সওয়ার হবেন। তারই প্রস্তুতি নিচ্ছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এক আধিকারিকদের কথায়, ‘‘প্রথম দিন যাত্রী সংখ্যা কম হয়েছে ঠিকই, তবে ই-পাসের অ্যাপ এবং ভিডিয়ো যে পরিমাণ মানুষ দেখছেন, তাতে স্পষ্ট যে আগামী দিনে প্রত্যাশার থেকেও বেশি ভিড় হবে।”
আরও পড়ুন: পুজোয় প্যান্ডেলের একাংশ খোলা রাখার পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর
আরও পড়ুন: স্বস্তির হাসি ফুটিয়ে চাকা গড়াল মেট্রোর
কর্তৃপক্ষের দাবি, কোভিড পরিস্থিতির আগে যত সংখ্যক যাত্রী মেট্রোয় চড়তেন তার মাত্র এক চতুর্থাংশ যাত্রীকে নিউ নর্মালে পরিষেবা দেওয়া হবে বলে ঠিক হয়েছিল। যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হয়। একটি ট্রেনে ৩৮৪ জনের বসার ব্যবস্থা থাকে। নিউ নর্মালে সেই আসন সংখ্যা কমিয়ে ১২৮ করা হয়েছে। পর্যাপ্ত দূরত্ব রেখে যাত্রীদের দাঁড়িয়ে সফরেও সায় দিয়েছে মেট্রো। সেই হিসাবে দু’টি প্রান্তিক স্টেশনে গড়ে ৪০০ যাত্রী নামা-ওঠা করবেন। সব মিলিয়ে একটা ট্রেন একবারে ১ হাজার ১০০ যাত্রীকে পরিষেবা দেবে। কোভিড পরিস্থিতির আগে এই যাত্রী সংখ্যাই ছিল অন্তত সাড়ে ৪ হাজার। এ দিন সেই হিসেবের ধারকাছ দিয়েও যায়নি যাত্রীসংখ্যা। বরং, ই-পাস কী? স্মার্ট কার্ড রিচার্জ করার পরও কেন টাকা কম দেখাচ্ছে? স্মার্ট ফোন যাঁদের নেই তাঁরা কি মেট্রোয় চড়তে পারবেন না? এ রকম নানা সংশয় এবং বিভ্রান্তির মধ্যেই হাতে গোনা যাত্রী নিয়েই দিনভর চলল মেট্রো।
আরও পড়ুন: লোকসভার অন্তত ১৭ সাংসদের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ, বাড়ছে উদ্বেগ
মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন মেনে নেন যে, স্মার্ট কার্ড রিচার্জ করার ক্ষেত্রে কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের সঙ্গে কথা বলে ওই সমস্যা দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ই-পাস কী ভাবে পাওয়া যাবে তা নিয়ে বিভ্রান্তি ও সংশয় দূর করতে এ দিন বিভিন্ন স্টেশনে কলকাতা পুলিশের কর্মীরা যাত্রীদের তা বুক করার পদ্ধতি ব্যাখ্যা করেন। স্মার্ট ফোন না থাকলেও, অন্যের স্মার্ট ফোন থেকে বা ল্যাপটপ ও ডেস্কটপে https://pathadisha.com/metro-