দগ্ধ: আগুন নিভিয়ে ফেলার পরে সল্টলেকের এফডি ব্লকের পুজো মণ্ডপ। বুধবার। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য
প্রতিমা নিরঞ্জনের আগেই ভস্মীভূত হয়ে গেল পুজো মণ্ডপ। বুধবার সকালে এই ঘটনা ঘটেছে সল্টলেকের এফডি ব্লকে। মণ্ডপের পাশাপাশি প্রতিমাও পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। খবর পেয়ে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভালেও তার আগেই পুড়ে যায় সব কিছু।
দমকল ও পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন সকাল ৬টা নাগাদ মণ্ডপের পিছনের দিকে আগুন দেখতে পান নিরাপত্তারক্ষীরা। তাঁরা জল দিয়ে তা নেভানোর প্রাথমিক চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে ছুটে আসেন আয়োজকেরা। তত ক্ষণে অবশ্য আগুন গ্রাস করেছে গোটা মণ্ডপটিকে। লেলিহান শিখা উঠে যায় মণ্ডপের ছাদ পর্যন্ত। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে বাঁশ, কাপড়, ত্রিপল-সহ সব কিছু।
খবর পেয়ে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। কিছু ক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে তারা। তবে তত ক্ষণে প্রতিমা-সহ গোটা মণ্ডপই পুড়ে গিয়েছে। এর পরে ঘটনাস্থলে যায় বিধাননগর পুলিশও।
আরও পড়ুন: কালীপুজোয় মেট্রো পৌঁছচ্ছে না দক্ষিণেশ্বরে
আগুন কী ভাবে লাগল, দমকলের তরফে সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি জানান, দমকলকর্মীরা আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে এনেছেন। কী ভাবে আগুন লাগল, তা তদন্ত করে দেখা হবে। একটু বেলার দিকে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরাও ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেন।
আরও পড়ুন: ছ’হাজারের পরে নাম, কিডনি পেতে অপেক্ষা দু’বছর
এফডি ব্লকের এ বারের পুজোয় থিমের পরিকল্পনা করা হয়েছিল শিশু-কিশোরদের কথা ভেবে। মূল মণ্ডপ থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বে দর্শনার্থীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। থিম অনুযায়ী পুজোর মাঠের একটি বড় অংশকে সাজানো হয়েছিল। মূল মণ্ডপ পুড়ে গেলেও ওই অংশটি আগুনের গ্রাস থেকে রক্ষা পেয়েছে। সেখানে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগেই তা নিভিয়ে ফেলেন দমকলকর্মীরা।
এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, এই ঘটনার ভাল ভাবে তদন্ত করতে হবে। পুজো কমিটির সম্পাদক সৌমিত্র মুখোপাধ্যায় জানান, কী ভাবে আগুন লাগল, তা স্পষ্ট নয়। গত কালই মণ্ডপের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল। ফলে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগার কথা নয়। এফডি ব্লক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বুধবারই প্রতিমা বিসর্জনের কথা ছিল। কিন্তু অগ্নিকাণ্ডে সব শেষ হয়ে গেল।’’ আগুন কী ভাবে লাগল, তা বুঝতে পারছেন না তিনিও। তাঁর কথায়, ‘‘যে জায়গা থেকে আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, সেখানে কোনও বৈদ্যুতিক তার ছিল না। কিছু কাপড় পড়ে ছিল। আগুনের ঘটনা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। দমকল ও পুলিশ খতিয়ে দেখছে।’’ পুজো কমিটি সূত্রের খবর, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পুলিশকে দেওয়া হয়েছে।