Coronavirus

সরকারি বিমার টাকা পাবে মৃত কনস্টেবলের পরিবারও

গত ৩ জুন করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে বছর সাতচল্লিশের ওই কনস্টেবলের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০২০ ০১:২২
Share:

প্রতীকী ছবি।

করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় প্রথম সারিতে কাজ করতে গিয়ে মৃত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর পরিবার ইতিমধ্যেই সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী স্বাস্থ্য বিমার ১০ লক্ষ টাকা পেয়েছে। এ বার কলকাতা পুলিশের মৃত কনস্টেবলের পরিবারও সেই বিমার টাকা পেতে চলেছে বলে লালবাজার সূত্রের খবর।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার খোদ পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা করোনা মোকাবিলায় পুলিশকর্মীদের লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়ে একটি বার্তা পাঠিয়েছেন। তাতে তিনি করোনায় আক্রান্ত ও সুস্থ হয়ে ওঠা পুলিশকর্মীদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। পাশাপাশি এক কর্মীকে হারানোর কথাও উল্লেখ করেছেন। এ-ও জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার যে বিমার ব্যবস্থা করেছে, তাতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে পুলিশকর্মীদের কেউ প্রাণ হারালে তাঁর পরিবার ১০ লক্ষ টাকা পাবে।

এই ঘোষণা অনুযায়ী, মৃত কনস্টেবলের পরিবার যাতে ১০ লক্ষ টাকা পায়, তার জন্য কাগজপত্র তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এক কর্তা। ডিসি (সাউথ)-র অফিসে কাজ করা ওই কনস্টেবলের পরিবারকে ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের তরফে এক লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে বলে খবর।

Advertisement

গত ৩ জুন করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে বছর সাতচল্লিশের ওই কনস্টেবলের। ৬ জুন সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। পুলিশ সূত্রের খবর, দ্বিতীয় ব্যাটেলিয়নের ওই কনস্টেবলকে লকডাউনের সময়ে ডিসি-র অফিসে কাজে লাগানো হয়। পরে তাঁকে শেক্সপিয়র সরণি থানাতেও পাঠানো হয়েছিল।

আদতে শিলিগুড়ির ফাঁসিদেওয়ার বাসিন্দা ওই কনস্টেবল লকডাউনের মধ্যেই মে মাসের শেষে খবর পান, সেখানে তাঁর স্ত্রী খুব অসুস্থ। তড়িঘড়ি ছুটি নিয়ে ২৮ মে বাসে চেপে
শিলিগুড়ি রওনা দেন তিনি। ১ জুন কলকাতায় ফেরেন। তার পরেই তাঁর জ্বর আসে। তাই অন্য পুলিশকর্মীদের সঙ্গে তিনিও যান নমুনা পরীক্ষা
করাতে। দু’দিনের মাথায় রিপোর্ট এলে জানা যায়, তিনি করোনায় আক্রান্ত। তাঁকে ভর্তি করানো হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।

এ দিকে, ওই কনস্টেবলের রিপোর্ট পজ়িটিভ আসতেই তাঁর বাড়িতে খবর পাঠানো হয় এবং স্ত্রীকে কোয়রান্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। কারণ, বাড়ি থেকে ফেরার পরেই ওই কনস্টেবলের নমুনা পরীক্ষা হয় এবং রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। স্ত্রী কোয়রান্টিনে থাকায় মৃতের মেয়ে মামাকে নিয়ে কলকাতায় আসেন শেষ বারের মতো বাবাকে দেখতে। পরে ডিসি (সাউথ)-র অফিসেও তাঁরা যান বলে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে।

লালবাজারের খবর, সাধারণত ডিউটি করতে করতে কারও মৃত্যু হলে সরকারি কর্মচারী হিসেবে পুলিশকর্মীরাও বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন। তবে তার জন্য পরিবারের তরফে কাগজপত্র-সহ আবেদন
করতে হয়। এ ক্ষেত্রে সেই আবেদন জানাতে কিছু দিন সময় লাগবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement