—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
নিউ টাউনের বাসিন্দা নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে ধৃত ব্যক্তির ডিএনএ পরীক্ষার দাবিতে সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হল নির্যাতিতার পরিবার।
মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ওই কিশোরীকে তার এক প্রতিবেশী গত অগস্ট মাসে ধর্ষণ করেছিল বলে অভিযোগ। এর পরে মেয়েটির
মুখ বন্ধ রাখতে তাকে অ্যাসিড মারারও হুমকি দিয়েছিল অভিযুক্ত। আপাতত ধৃতকে জেল
হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
নাবালিকার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত তাকে ভয় দেখানোয় সে অত্যাচারিত হওয়ার পরেও বাড়িতে কিছু জানায়নি। কিন্তু শারীরিক একটি পরীক্ষায় গত শুক্রবার কিশোরীর পরিজনেরা জানতে পারেন, সে অন্তঃসত্ত্বা। তার পরেই ধর্ষণের বিষয়টি সামনে আসে।
নাবালিকার পরিবারের আইনজীবী শামিম আহমেদ সোমবার জানান, মেয়েটির গর্ভপাত করানো হবে। তার আগে যদি
অভিযুক্তের ডিএনএ পরীক্ষা না করানো হয়, তবে অভিযোগ প্রমাণ করতে সমস্যা হবে। শামিম বলেন, ‘‘পুলিশ ঠিক পথে তদন্ত করছে না। এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তের ডিএনএ পরীক্ষা করায়নি তারা। এমনকি,
নির্যাতিতার আল্ট্রাসোনোগ্রাফিও (ইউএসজি) করানো হয়নি। নাবালিকার সুবিচারের
দাবিতেই আমরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।’’
কিশোরীর পরিবার জানায়, শারীরিক সমস্যার কারণে ডাক্তারি পরীক্ষার পরে ইউএসজি
করানোর জন্য তাকে গত শুক্রবার একটি বেসরকারি ল্যাবরেটরিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই ল্যাবরেটরির কর্মীরা বিষয়টি বুঝতে পেরে কোনও রিপোর্ট তৈরি না করেই পুলিশি ঝামেলা এড়াতে
নাবালিকার পরিবারকে ইউএসজি করার টাকা ফেরত দিয়ে দেন। পরিবারটি আরও জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত নাবালিকার ইউএসজি-র কোনও রিপোর্ট তাদের কাছে নেই। এ দিন ওই কিশোরীর গোপন জবানবন্দি দেওয়ার কথা থাকলেও
তা করানো যায়নি বলে পরিবারের লোকজন জানান। তবে এ দিন পুলিশ শিশু কল্যাণ কমিটির সামনে নাবালিকাকে হাজির করে। আজ, মঙ্গলবার তার গোপন জবানবন্দি দেওয়ার কথা।
যদিও বিধাননগর পুলিশের দাবি, তদন্ত ঠিক পথেই চলছে।
নাবালিকার মেডিক্যাল পরীক্ষাও করানো হয়েছে। অভিযুক্তের ডিএনএ পরীক্ষাও করানো হবে।
বিধাননগর পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিকের দাবি, ‘‘ওদের পরিবার কেন হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে জানি না। তবে পুলিশ পকসো
আইনে মামলা রুজু করেছে। অভিযুক্তের ডিএনএ পরীক্ষাও করা হবে।’’