নবান্ন। — ফাইল চিত্র
কলকাতা পুলিশের অফিসার, কনস্টেবল থেকে শুরু করে সিভিক ভলান্টিয়ার মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। তাঁদের মধ্যে সাতটি পরিবার থেকে এক জন করে সদস্যকে চাকরি দেওয়া হবে। কাল, মঙ্গলবার পুলিশ দিবসে ওই ঘোষণা করা হবে বলে কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর। বাকি এক করোনা যোদ্ধার স্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি। অন্য এক জনের স্ত্রী সরকারি চাকরি করেন। এই দু`জনকে বাদ দিয়ে বাকি সাতটি পরিবারের জন্য সরকারি নিয়ম মেনে চাকরি দেওয়া হচ্ছে। তবে মৃত কোভিড যোদ্ধাদের সকলের পরিবারকেই কাল সম্মান জানানো হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
মার্চ মাসের শেষে পশ্চিমবঙ্গে করোনা মোকাবিলায় লকডাউন ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। ২৩ মার্চ থেকে সম্পূর্ণ লকডাউনে স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি একেবারে সামনের সারিতে থেকে পরিস্থিতির মোকাবিলা করে চলেছেন পুলিশের সব স্তরের কর্মীরা। সম্পূর্ণ লকডাউন সফল করা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের সব রকম সহায়তা করেছেন তাঁরা। কিন্তু সেই কাজ করতে গিয়ে আক্রান্তও হয়েছেন কলকাতা পুলিশের শীর্ষ কর্তা থেকে শুরু করে নিচুতলার কর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে পুলিশকর্মীদের ভূমিকাকে সম্মান জানাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী ১ সেপ্টেম্বর পুলিশ দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, কোভিড মোকাবিলায় সরকারি কোনও কর্মীর মৃত্যু হলে তাঁদের পরিবারের এক জন সদস্য চাকরি পাবেন। শুধু চাকরি নয়, নিয়ম মেনে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি। কাল, মঙ্গলবার কলকাতা পুলিশের মৃত কর্মীদের চাকরির কাগজপত্র দেওয়া হলেও তাঁদের পরিবারের হাতে সরকারি ১০ লক্ষ টাকা ইতিমধ্যেই তুলে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার যে পুলিশ আধিকারিক বা কর্মীদের পরিবার চাকরি পাচ্ছেন, তাঁরা হলেন কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের ইকুইপমেন্ট সেলের ওসি অভিজ্ঞান মুখোপাধ্যায়, শিয়ালদহ ট্র্যাফিক গার্ডের কনস্টেবল দিলীপ সর্দার, ইস্ট ট্র্যাফিক গার্ডের সিভিক ভলান্টিয়ার সুব্রত দাস, হেস্টিংস থানার কনস্টেবল কৃষ্ণকান্ত বর্মণ, চারু মার্কেট থানার কনস্টেবল দেবেন্দ্রনাথ তিরকি, চিৎপুর থানার সাব-ইনস্পেক্টর তপনচন্দ্র কুমারের পরিবারের এক জন করে সদস্য। তবে এসি (সেন্ট্রাল) উদয়শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় গত ২১ অগস্ট মারা যান। তাঁর স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখনও হাসপাতালে ভর্তি। ফলে উদয়শঙ্করবাবুর পরিবারের ঘোষণা এ দিন হবে না বলে পুলিশের একটি সূত্রের খবর।
পাশাপাশি জোড়াবাগান ট্র্যাফিক গার্ডের কনস্টেবল দীপঙ্কর সরকারের স্ত্রী সরকারি চাকরি করেন। ফলে তিনি এই মুহূর্তে চাকরি পাবেন না। তবে পরে তাঁর মেয়েকে এই চাকরি দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।