ফেসবুক-টুইটারে এ ছবিই ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
কী তথ্য ছড়িয়েছে:
কয়েকটি ছবি, যাতে দেখা যাচ্ছে বাজারের মধ্যে প্রচুর সংখ্যক মানুষ কেনাকাটি করছেন। এই ছবি শেয়ার করে বলা হচ্ছে যে, লকডাউন উপেক্ষা করে কলকাতার রাজাবাজার, পার্ক সার্কাস, খিদিরপুর, মেটিয়াবুরুজে এ ভাবেই কাতারে কাতারে মানুষ ভিড় করেছেন।
কোথায় ছড়িয়েছে:
ফেসবুক এবং টুইটারে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এই ছবিগুলি। এর মধ্যে কিছু ফেসবুক পোস্ট গড়ে দেড় হাজারের উপরে শেয়ার হয়েছে।
মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায় এমনই একটা টুইট রিটুইট করেছেন
এই তথ্য কি সঠিক?
না। চারটির একটাও কলকাতায় লকডাউনের সময়ের ছবি নয়।
সত্যিটা কী এবং আনন্দবাজার সেটা কী ভাবে যাচাই করল:
প্রত্যেকটি ছবিকেই আমরা গুগ্ল রিভার্স ইমেজ সার্চে গিয়ে খুঁজে দেখি। সেখান থেকেই বেরিয়ে আসে সত্যিটা।
প্রথম ছবিটা যেমন— রাস্তায় বসে খাবার বিক্রি করছেন এক জন। পাশেই খাবার হাতে খয়েরি পাঞ্জাবি পরা এক ব্যক্তি। এই ছবি রাজাবাজারের বটে। তবে কলকাতার নয়, পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির রাজাবাজারের। এই ছবি ২০২০ সালেরও নয়। ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর এটি ‘রেডিট’ ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়।
দ্বিতীয় ছবিটা কোনও এক বাজার এলাকার। উর্দুতে লেখা একটা ফেস্টুন ঝুলতে দেখা যাচ্ছে। গুগ্লেএ ছবিরও হদিশ মিলল। এটিও রাওয়ালপিন্ডির বড়বাজারের। সে শহরে রাজাবাজারের পাশেই বড়বাজার। ছবিটি ‘ফ্লিকার’-এ আপলোড হয় ২০০৭ সালের ১৫ এপ্রিল।
ওই পোস্টগুলিতে রয়েছে আরও একটি বাজারের ছবি। এই ছবিটি ২০১৯ সালের ২৬ জুলাই একটি ইংরেজি পোর্টালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে প্রকাশ হয়। ছবিটি মধ্য কলকাতার বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের কোলে মার্কেট চত্বরের। ‘শিয়ালদহ ফ্লাইওভার বন্ধ’ এমন একটি খবরের সঙ্গে এই ছবিটি প্রকাশিত হয়।
শেষ ছবিটিতে কিছু মানুষকে রাস্তার ধারে স্নান করতে দেখা যাচ্ছে। এটি কলকাতার রাজাবাজার অঞ্চলের। কিন্তু, এ বছরের নয়। ২০১৭ সালেরঅগস্ট মাসেইংরেজি একটি ওয়েবসাইটের এক লেখার সঙ্গে এটি প্রকাশিত হয়। ছবিটি ভাল করে দেখলে তাতে ওই ওয়েবসাইটের ‘ওয়াটার মার্ক’ও চোখে পড়বে।
(হোয়াটস্অ্যাপ,ফেসবুক, টুইটারে যা-ই দেখবেন, তা-ই বিশ্বাস করবেন না। শেয়ারও করে দেবেন না। বিশেষত এই আতঙ্কগ্রস্ত অবস্থায় তো তো নয়ই। এ ভাবেই ছড়িয়ে পড়ে ভুয়ো খবর। যাচাই করুন। কোনও খবর, তথ্য, ছবি বা ভিডিয়ো নিয়ে মনে সংশয় দেখা দিলে আমাদের জানান এই ঠিকানায় feedback@abpdigital.in)