ওমিক্রনের জন্য নতুন টিকার খোঁজ! প্রতীকী ছবি
অতিমারি করোনা ঠেকাতে সারা বিশ্বে গণটিকাকরণ চলছে। কিন্তু এর মধ্যে এসে গিয়েছে কোভিডের নতুন রূপ ওমিক্রন। বর্তমানে বাজার চলতি টিকায় প্রবল সংক্রামক এই রূপকে ঠেকানো যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ভারত-সহ একাধিক দেশ বুস্টার টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে। কিন্তু চিকিৎসক বিজ্ঞানীদের একটি বড় অংশ বলছেন, এ দিয়েও ওমিক্রন রোখা কার্যত অসম্ভব! শুধু ওমিক্রনের জন্য আলাদা করে টিকা লাগবে? যদি তাই হয়, তার প্রস্তুতি এখন কোন জায়গায়?
সম্প্রতি ‘নেচার’ পত্রিকা বিভিন্ন বিশেষজ্ঞের সাক্ষাৎকার নিয়েছে। তাতে মূল বিষয় ছিল ওমিক্রন। সাক্ষাৎকারে ফাইজার, বায়োএনটেকের মতো টিকা সংস্থা জানায়,
তারা ইতিমধ্যে নতুন প্রতিষেধকের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করেছে। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ওমিক্রন রোধে কার্যকর টিকা পেতে গেলে আরও অপেক্ষা করতে হবে। কারণ, কোভিডের এই রূপ নিয়ে এখনও যথেষ্ট গবেষণার অবকাশ রয়েছে।
সাক্ষাৎকারে বিশেষজ্ঞদের বড় অংশ দাবি করছেন, ওমিক্রনের ক্ষেত্রে বুস্টার টিকা কার্যকর নয়। করোনাভাইরাস একাধিক পরিব্যাপ্তির (মিউটেশন) মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ঘনঘন রূপ তৈরি করছে এটি। ওমিক্রন রূপ ইতিমধ্যে অন্তত ৩০টি পরিব্যপ্তির মধ্য দিয়ে গয়েছে। যা বৈশিষ্টগত দিক দিয়ে কোভিডের প্রথম রূপগুলি থেকে একেবারেই আলাদা। তাই বুস্টার টিকা নিলেও তা দীর্ঘমেয়াদি সুরক্ষা দিতে অক্ষম বলে দাবি তাঁদের।
ওমিক্রনের উপর বুস্টার টিকার কার্যকারিতা নিয়ে ভিন্ন কথা বলছেন আমেরিকার গবেষকরা। নেচার পত্রিকাকে ‘ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ বা সিডিসি-র বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বুস্টার টিকা নেওয়ার পর হাসপাতালে করোনা রোগীদের ভর্তির সংখ্যা ৯০ শতাংশ কমে গিয়েছে। প্রায় একই কথা বলছেন ইংল্যান্ডের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও। তবে শুধু ওমিক্রন রোধে কোনও প্রতিষেধক আনা সম্ভব হবে কি না এ নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত বিশেষজ্ঞদের একাংশ।