আদিগঙ্গার পুনরুজ্জীবন নিয়ে উদ্যোগ। ফাইল চিত্র।
আদিগঙ্গার পুনরুজ্জীবনের দাবির সঙ্গে সাধারণ নাগরিকদের যুক্ত করতে ঘাট সংলগ্ন এলাকায় রবিবার, ‘বিশ্ব নদী দিবস’-এ সচেতনতামূলক প্রচার চালালেন পরিবেশকর্মীরা। তাঁদের সংগঠন ‘সবুজ মঞ্চ’-এর উদ্যোগে এলাকায় লিফলেট বিলি করে, সভা করে এই প্রচার চালানো হয়। কলকাতা পুরসভার যে সব ওয়ার্ড দিয়ে আদিগঙ্গা বয়ে গিয়েছে, সেখানে আগামী দিনে এই প্রচার চলবে বলে সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নব দত্ত বলছেন, ‘‘রাজ্যের দূষিত নদীগুলির পুনরুজ্জীবনে ইতিমধ্যেই সরকার পদক্ষেপ করছে। আদিগঙ্গার ক্ষেত্রে সেই পদক্ষেপ কেন গৃহীত হচ্ছে না?’’
প্রসঙ্গত, আদিগঙ্গার দূষণ ও তার পুনরুজ্জীবনের দাবি নতুন কিছু নয়। সেই ২০১৫ সালে জাতীয় পরিবেশ আদালতে এ সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলার নিষ্পত্তি করে আদিগঙ্গার এলাকা চিহ্নিতকরণ, সেখানকার জল থেকে নিয়মিত নোংরা পরিষ্কার, দু’পাড়ের জবরদখল সরানো, নিকাশি পরিশোধন প্লান্ট তৈরি-সহ একাধিক বিষয় উল্লেখ করে জাতীয় পরিবেশ আদালত তার পুনরুজ্জীবনের নির্দেশ দিয়েছিল। এ ব্যাপারে রাজ্য পরিবেশ, সেচ ও জলসম্পদ দফতরের পাশাপাশি কলকাতা পুরসভা ও রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলেছিল। তবে সেই নির্দেশ পুরোপুরি মানা হয়নি বলে চলতি বছরের মে মাসে আদালতে ফের একটি মামলা দায়ের হয়।
সংশ্লিষ্ট মামলার আবেদনকারী সুভাষ দত্ত বলছেন, ‘‘আদিগঙ্গা বর্তমানে একটা নালা ছাড়া কিছু নয়। অথচ পরিবেশ আদালত দূষণ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি এর পুনরুজ্জীবনেরও নির্দেশ দিয়েছিল। তবে পাড়ের দখলদার সরিয়ে নিকাশি পরিশোধন প্লান্ট তৈরি না-করা পর্যন্ত তা সম্ভব হবে না।’’