—প্রতীকী চিত্র।
পথ দুর্ঘটনায় বড়িশার একটি স্কুলের খুদে পড়ুয়ার মৃত্যুর খবরে প্রাথমিকের পড়ুয়াদের মনে স্কুলে আসা নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়ে থাকতে পারে। এমনটা যাতে না হয়, তার জন্য শহরের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে পড়ুয়াদের কাউন্সেলিং করানোর পরিকল্পনা করেছে কলকাতা জেলা শিক্ষা দফতর। দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘স্কুলের সামনে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে কলকাতা পুলিশ যা করার করছে। আমাদের তরফেও পড়ুয়াদের কাউন্সেলিং করা হবে।’’
স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষকেরা আবার জানাচ্ছেন, শুধু স্কুলের সামনে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করলেই হবে না, বেআইনি পার্কিংও বন্ধ করতে হবে। স্কুল সংলগ্ন ফুটপাত জুড়ে হকারের দখলদারি সরাতে হবে।
শিয়ালদহের জনবহুল এলাকায় দু’টি স্কুল, টাকি বয়েজ এবং টাকি গার্লস। স্কুল দু’টির সামনের ফুটপাতে অবৈধ পার্কিং করে রাখা হয় বলে অভিযোগ। টাকি গার্লসের প্রধান শিক্ষিকা শম্পা চক্রবর্তী বলেন, ‘‘স্কুলের সামনে যে ভাবে গাড়ি দাঁড় করানো থাকে, তাতে স্কুলের গাড়ি, অভিভাবকদের গাড়ি, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের গাড়ি ঢুকতে পারে না। স্কুল থেকে অনেকটা দূরে পড়ুয়াদের নামতে হয়। স্কুলে ঢুকতে-বেরোতেও সমস্যা হয়। এ সব নিয়ে আগেও সংশ্লিষ্ট থানাকে অনুরোধ করেছি। সৌরনীলের ঘটনার পরে আবার থানায় জানিয়েছি।’’
যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য বলেন, ‘‘প্রাথমিকের ছুটি হয় সকাল ১০টায়। তখন দিবা বিভাগের পড়ুয়ারাও আসে। ওই সময়টায় সব মিলিয়ে দুই থেকে আড়াই হাজার পড়ুয়ার জমায়েত হয় স্কুলের সামনে। আমাদের স্কুলের রাস্তাটা অত্যন্ত ব্যস্ত। এ বার ট্র্যাফিক গার্ডকে স্কুলের সামনে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বলেছি।’’
পাশাপাশি, ছাত্র এবং অভিভাবকদেরও সচেতন করার কর্মসূচি নিয়েছে কয়েকটি স্কুল। তাদেরই একটি প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের রামমোহন মিশন হাইস্কুল। ওই স্কুলের অধ্যক্ষ সুজয় বিশ্বাস বলেন, ‘‘৯ অগস্ট অভিভাবক এবং ছাত্রদের ট্র্যাফিক আইন সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে বলবেন পুলিশের কয়েক জন আধিকারিক।’’