সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ।
ভোটের আগে ফের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের নজরে রাজ্যের আর এক শীর্ষ কর্তা। এ বার রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুরজিৎ কর পুরকায়স্থকে ডেকে পাঠাল সারদা-কাণ্ডে তদন্তকারী এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বৃহস্পতিবার সকালেই ইডির দফতরে হাজির হন সুরজিৎ। তাঁকে দেড় ঘণ্টা জেরা করা হয়।
সারদা-কাণ্ড যে সময় সামনে আসে, তখনই কলকাতা পুলিশের কমিশনার পদে দায়িত্ব নিয়েছিলেন সুরজিৎ। তার আগে রাজ্য পুলিশের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল (আইন-শৃঙ্খলা) ছিলেন তিনি। অভিযোগ, সারদার বিভিন্ন অনুষ্ঠান মঞ্চে একটা সময়ে দেখা গিয়েছিল সুরজিৎতে। তিনি সারদা গোষ্ঠীর সঙ্গে কীভাবে যুক্ত হয়েছিলেন, কেনই বা সারদার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতেন, সে বিষয়েই সুরজিৎকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর।
সারদা-কাণ্ডে ইডির পাশাপাশি তদন্ত করছে সিবিআইও। দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা এ পর্যন্ত রাজনৈতিক নেতা থেকে পুলিশ কর্তাদের জেরা করেছে। তবে তদন্ত শেষ হয়নি এখনও। এরই মধ্যে রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে সারদা-কাণ্ডে জড়িত তৃণমূল নেতা থেকে কয়েকজন পুলিশ অফিসারকে তলব করেছে দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা। এর আগে ডেকে পাঠানো হয়েছিল তৃণমূল নেতা ও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্রকে। তলব করা হয় তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষকেও।
বৃহস্পতিবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে সকাল ১১টা নাগাদ পৌঁছন সুরজিৎ। ইডি সূত্র খবর, তাঁকে দেড় ঘণ্টা জেরা করা হয়। সুরজিতের বয়ান রেকর্ডও করা হয়ে থাকতে পারে বলে খবর। সূত্রের খবর, সারদা গোষ্ঠীর বিষয়ে তিনি কী কী জানেন, তা জানতে চাওয়া হয়েছে সুরজিতের কাছে। এ ছাড়া চিট ফান্ড-কাণ্ড নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। চিটফাণ্ডের ঘটনা সামনে আসার পর রাজ্য সরকারের তরফে যে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছিল, তার অন্যতম সদস্য ছিলেন সুরজিৎ। সেই সময়ের তদন্তের বিষয়েও তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। সারদার কী কী নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল, কাদের জেরা করা হয়েছিল এবং গ্রেফতারির বিষয়েও তাঁর কাছে ইডি-র গোয়েন্দারা প্রশ্ন করেছেন বলে সূত্রের খবর।