—ফাইল চিত্র।
শহরে আবার ইডি অভিযান। এ বার কলকাতার বেনিয়াপুকুর এবং কৈখালির দু’টি ঠিকানায় পৌঁছল ইডি তদন্তকারীদের দু’টি দল। বুধবার সকাল থেকে এই দুই জায়গায় ইডি তল্লাশি চলছে। তবে এর সঙ্গে সরকারি নিয়োগ দুর্নীতি বা রেশন দুর্নীতির অভিযোগের কোনও সম্পর্ক নেই বলেই ইডি সূত্রে খবর।
কলকাতার বেনিয়াপুকুরের একটি বহুতলে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডির দলটি। ঠিকানাটি একটি অফিসের। অন্য দিকে, কৈখালির ঠিকানাতেও একটি কলসেন্টার ছিল বলে সূত্রের খবর। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই দুই ঠিকানাতেই ভুয়ো কল সেন্টারের সন্ধানে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
গত কয়েক মাস ধরেই কলকাতায় চলা ভুয়ো কল সেন্টার নিয়ে তৎপর হয়েছে ইডি। এক দিকে যেমন সরকারি ক্ষেত্রে নানা দুর্নীতির তদন্ত করছে তারা, তেমনই এই ভুয়ো কল সেন্টার নিয়েও তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি।
এই কল সেন্টার গুলির চক্র ছড়িয়ে রয়েছে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায়। অভিযোগ এই কল সেন্টারে কর্মরতরা বিদেশিদের নানা প্রতারণায় জড়িয়ে তাঁদের থেকে টাকা লুঠ করত। কলকাতার নানা প্রান্তে এই ধরনের ভুয়ো কল সেন্টার ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বলে তদন্তকারীদের অনুমান। এ ব্যাপারে বেশ কিছু অভিযোগও দায়ের হয়েছে পুলিশের কাছে। ইডির তদন্তকারীদের সন্দেহ, এই এক একটি মামলায় অন্তত কয়কশো কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। ইডি তারই তল পেতে চাইছে।
এর আগে গত বছরের শেষ দিকে এই ভুয়ো কল সেন্টার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছি কুণাল গুপ্ত নামে এক ব্যক্তিকে। তাঁর বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের অন্তত ৩০০ জন আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ করেছিলেন। কুণালকে গ্রেফতারের পর ইডি আদলতে জানিয়েছিল, ইংল্যান্ডের প্রায় ১৩ হাজার জন কুণালের দ্বারা প্রতারিত। অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকার বাসিন্দাদের প্রতারণায়ও অভিযুক্ত কুণাল। প্রায় দেড়শো কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় কুণাল ছাড়াও কুণাল-ঘনিষ্ঠ আরও এক কল সেন্টারের মালিককে গ্রেফতার করেছিল ইডি।
ইডি সূত্রে খবর, তদন্তে নেমে তারা দেখতে পেয়েছে, এই সমস্ত কল সেন্টার নিয়ে পৃথক পৃথক অভিযোগ দায়ের হলেও এই প্রত্যেকটি ভুয়ো কলসেন্টার কোনও না কোনও ভাবে পরষ্পরের সঙ্গে যুক্ত। ভুয়ো কল সেন্টারগুলির কোনও একটি মাথা আছে কি না, তা-ও ইডি খুঁজে বার করতে চাইছে বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর।