স্থানীয় ব্যবসায়ীর বাড়িতে ইডি। নিজস্ব চিত্র
কেষ্টপুরের স্থানীয় ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিল ইডি। সোমবার সকাল সকাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ছয় থেকে সাত জন আধিকারিক রাজু হিরা নামের ওই ব্যক্তির বাড়িতে পৌঁছন। সকাল থেকে বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছেন তাঁরা।
জানা গিয়েছে, সোমবার সকাল ন’টার পরে কেষ্টপুরের জগতপুর এলাকায় রাজু হিরার বাড়িতে আসে ইডি। স্থানীয় সূত্রে খবর, তিনি ব্যবসায়ী। তাঁর বাড়ির সামনে দোকানও রয়েছে। পরিবার নিয়ে এই জগতপুরের বাড়িতেই থাকেন রাজু। গত কয়েক বছরে তাঁর সম্পত্তি বিপুল পরিমানে বেড়েছে পেয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকার লোকজন।
কেন রাজু হিরার বাড়িতে গেলেন ইডির আধিকারিকরা? সেখানে তল্লাশি করে কিছু পাওয়া গেল কি না, তা জানা যায়নি। সোমবার সকালে দক্ষিণ কলকাতার রানিকুঠী এবং সোদপুরের রাজেন্দ্রপল্লীতেও হানা দিয়েছেন সিবিআই এবং ইডির আধিকারিকরা। রানিকুঠীর বাড়িতে গিয়েছে সিবিআই এবং সোদপুরের বাড়িতে গিয়েছে ইডি। কী কারণে এই অভিযান, তা স্পষ্ট নয়। তদন্তের স্বার্থেই গোপনীয়তা বজায় রেখেছে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি।
গত কয়েক দিন ধরেই চিটফান্ড কাণ্ডে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় তৎপর হয়ে উঠেছে ইডি-সিবিআই। রবিবার সকালে বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর হালিশহরের বাড়িতে তল্লাশি চালান সিবিআই-এর আধিকারিকরা। কলকাতার পাইকপাড়ায় তাঁর ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চালানো হয়। এ ছাড়া দক্ষিণদাঁড়ি এবং বিটি রোডের ফ্ল্যাটেও রবিবার তল্লাশি চালিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সুবোধের ভাই তথা কাঁচরাপাড়া পুরসভার পুরপ্রধান কমল অধিকারীর বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়।
তার আগে, চিটফান্ড মামলায় হালিশহরের পুরপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা রাজু সাহানির বাড়ি থেকে প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা নগদ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সেই প্রেক্ষাপটে এ বার কেষ্টপুরের ব্যবসায়ীর বাড়িতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হানা আলাদা মাত্রা যোগ করেছে।