আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। —ফাইল চিত্র।
আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে এ বার সক্রিয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে তৎপর ইডি। সূত্রের খবর, সোমবারই সন্দীপ সংক্রান্ত নথিপত্র দিল্লিতে প্রবর্তন ভবনে ইডির সদর দফতরে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে সবুজ সঙ্কেত মিললেই আরজি করের আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে ইসিআইআর (পুলিশ বা সিবিআইয়ের ক্ষেত্রে যা এফআইআর) দায়ের করতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরই মধ্যে মঙ্গলবার সকালেও সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে গেলেন সন্দীপ। সকাল ১০টা নাগাদ সিবিআই অফিসে প্রবেশ করেন তিনি।
এই নিয়ে টানা ১১ দিন মুখোমুখি সন্দীপ-সিবিআই। প্রতি দিনই সিবিআই অফিসে হাজিরা দিতে হচ্ছে তাঁকে। প্রতি দিনই দীর্ঘ ক্ষণ ধরে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব। মাঝে শুধু রবিবার সিবিআই অফিসে হাজিরা দিতে হয়নি সন্দীপকে। সেই দিন অবশ্য সিবিআই আধিকারিকেরা অভিযানে গিয়েছিলেন সন্দীপের বাড়িতে।
আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় যখন তোলপাড় রাজ্য, ঠিক সেই সময়েই প্রকাশ্যে চলে আসে আরজি কর মেডিক্যালে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগও। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ইতিমধ্যেই সেই মামলার তদন্ত চালাচ্ছে অপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সিবিআইয়ের দায়ের করা এফআইআরে মোট চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। তার মধ্যে তালিকায় প্রথম নামটিই তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপের। আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলির অভিযোগও ছিল মূলত সন্দীপের বিরুদ্ধেই। সরকারি টাকার অনিয়ম থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য ভবনের অনুমতি ছাড়া টেন্ডার বণ্টন, স্বজনপোষণ-সহ বিস্তর অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, আরজি করের আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে রবিবার রাজ্যের একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়েছে সিবিআইয়ের পৃথক পৃথক দল। বেলেঘাটায় সন্দীপের বাড়ি থেকে শুরু করে আরজি করের প্রাক্তন সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠ, আরজি করের ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের ডেমনস্ট্রেটর দেবাশিস সোম-সহ প্রায় ১৫ জনের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকেরা।