বিভিন্ন কারণে পরিষেবা চালুর সময়সীমা পিছিয়ে গিয়েছে বারবার। শেষ পর্যন্ত যদিও বা মহালয়ার আগে চালু হতে চলেছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর প্রথম পর্বের ট্রেন চলাচল, তা-ও চলবে সেক্টর ফাইভ থেকে সল্টলেক স্টেডিয়াম পর্যন্ত মাত্র সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার পথে। যা শুনে যাত্রীদের অনেকেরই প্রশ্ন, এত ঢাকঢোল পিটিয়ে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো কর্তৃপক্ষ পরিষেবা চালু করছেন না ‘জয় রাইড’?
রেল মন্ত্রক জানাচ্ছে, গতকাল সেক্টর ফাইভ থেকে সুভাষ সরোবর পর্যন্ত লাইনে ট্রেন চলাচল সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যবস্থা পরীক্ষা করেন কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি (সিআরএস)-এর প্রতিনিধিরা। সূত্রের দাবি, পরীক্ষার ফল ইতিবাচক। সিআরএস-এর চূড়ান্ত ছাড়পত্র এলেই অগস্ট-সেপ্টেম্বরের মধ্যে ওই লাইনে পরিষেবা শুরু করতে চান ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
প্রথম ৫.৮ কিমি লাইন মাটির উপরে হলেও, সুভাষ সরোবর থেকে ভূগর্ভে প্রবেশ করছে মেট্রো। বুধবার ইস্ট-ওয়েস্টের তরফে রেলকে দেওয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজও শেষের পথে। শুধু স্টেশন নির্মাণ সংক্রান্ত কিছু কাজ বাকি। কর্তৃপক্ষের লক্ষ্য, নভেম্বরের মধ্যে স্টেডিয়াম থেকে ফুলবাগান পর্যন্ত পরিষেবা শুরু করা।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো সূত্রের দাবি, ফুলবাগান থেকে হাওড়া ময়দানের মধ্যে ফুলবাগান-শিয়ালদহ অংশের কাজ শেষ। কাজ সম্পূর্ণ হাওড়া ময়দান থেকে ধর্মতলাও। বাকি ধর্মতলা থেকে শিয়ালদহ অংশের কাজ। যাতে সময় লাগবে প্রায় দেড় বছর। ফলে সেক্টর ফাইভ থেকে হাওড়া পর্যন্ত কেউ মেট্রোয় যেতে চাইলে তাঁকে অন্তত ২০২১-এর জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া গতি নেই!
প্রথমে বর্তমান উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোর সঙ্গে ইস্ট-ওয়েস্টের মেলার কথা ছিল সেন্ট্রাল স্টেশনে। কিন্তু জমি অধিগ্রহণে সমস্যা, রাজ্যের আপত্তিতে সেই পরিকল্পনা পাল্টে যায়। ঠিক হয়, দু’প্রান্তের দুই ট্রেন মিলবে বর্তমান এসপ্লানেড স্টেশনে। এতে প্রকল্পের খরচ বাড়ে। যদিও ইস্ট-ওয়েস্ট কর্তৃপক্ষ মনে করছেন, নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী এসপ্লানেডে ইস্ট-ওয়েস্ট, জোকা-বি বা দী বাগ ও বর্তমান উত্তর-দক্ষিণ মেট্রো এসে মিশবে। যাত্রী পরিবহণের প্রশ্নে যা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এর ফলে ২০৩৫ সালে, প্রকল্প শুরু হওয়ার পনেরো বছরের মাথায় এসপ্লানেড স্টেশন দিয়ে দিনে পাঁচ লক্ষ যাত্রী মেট্রো ব্যবহার করবেন বলে তাঁদের আশা।