চলছে মেট্রোর কাজ। — ফাইল চিত্র।
আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সুড়ঙ্গ থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করার জন্য বৌবাজারে বিশেষ উদ্ধার-পথ (ইভ্যাকুয়েশন শ্যাফট) নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গের কাছ ঘেঁষে, মাটির প্রায় ২০ মিটার গভীর থেকে ওই পথ নির্মাণ করা হচ্ছে।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় শিয়ালদহ থেকে এসপ্লানেড পর্যন্ত অংশে পূর্বমুখী সুড়ঙ্গের কাজ নির্বিঘ্নে মিটলেও বার বার সমস্যা দেখা দিয়েছে পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গে। শিয়ালদহ থেকে বৌবাজারের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে পর পর তিন বার ওই সুড়ঙ্গে বিপত্তির মুখোমুখি হতে হয়েছে। এই বিপত্তির কারণে শিয়ালদহ থেকে বৌবাজারের মধ্যে নির্দিষ্ট দূরত্বে তিনটি ক্রস প্যাসেজ বা সংযোগকারীসুড়ঙ্গ নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। পূর্ব এবং পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গের মধ্যে ওই তিনটি সংযোগকারী সুড়ঙ্গ আপৎকালীন পরিস্থিতিতে যাত্রীদের এক দিকের সুড়ঙ্গ থেকে পাশের সুড়ঙ্গে নিরাপদে নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্মাণ করা হচ্ছিল। ওই সুড়ঙ্গ নির্মাণ মেট্রোর যাত্রীদের সুরক্ষা ক্ষেত্রে অন্যতম আবশ্যিক শর্ত ছিল। সেটি নির্মাণ করতে গিয়েই গত অক্টোবর মাসে বৌবাজারের মদন দত্ত লেনে বিপত্তি দেখা দেয়। একাধিক বাড়ি ভেঙে পড়ে। এর পরে মেট্রো নির্মাণের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা তিনটি সংযোগকারী সুড়ঙ্গ নির্মাণ করা সম্ভব নয় বলে জানায়।
সুরক্ষা সংক্রান্ত শর্ত পূরণ করতে গিয়ে বিকল্প খোঁজার প্রক্রিয়া শুরুহয়। সব দিক খতিয়ে দেখে বৌবাজারে দুর্গা পিতুরি লেনের কাছে জোড়া টানেল বোরিং মেশিন (টিবিএম) উদ্ধার করার জন্য তৈরি করা চৌবাচ্চার পূর্ব প্রান্তে ওই পথ তৈরি করা হচ্ছে। নির্মাণ সম্পূর্ণ হলে ভবিষ্যতে পূর্ব এবং পশ্চিমমুখী দু’টি সুড়ঙ্গ থেকেই যাত্রীরা ওই পথ দিয়ে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে আসতে পারবেন। ওই পথ নির্মাণ হয়ে গেলে শিয়ালদহ এবং এসপ্লানেডের মধ্যে মেট্রোপথ নির্মাণের কাজ অনেকটাই সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে মেট্রোসূত্রের খবর।