East West Metro

হাইকোর্টের নির্দেশে বৌবাজারে বাড়িতে ঢুকলেন ক্ষতিগ্রস্তরা

বিপর্যয় সামলাতে ইতিমধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকার সুড়ঙ্গ-বিশেষজ্ঞ পল ভেরল কলকাতায় চলে এসেছেন। কেএমআরসিএল সূত্রে খবর, হংকং থেকে এসেছেন এক জন ভূতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ। সাহায্য নেওয়া হচ্ছে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আরও দুই বিশেষজ্ঞের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২০:২৮
Share:

বাড়ি থেকে জিনিসপত্র বের করে আনছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের এক বাসিন্দা।

বৌবাজারে সুড়ঙ্গে বিপর্যয় ঘটলেও, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর রুট পরিবর্তন আর নয়। ওই রুটে সুড়ঙ্গ এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে প্রকল্প পিছিয়ে যেতে পারে আরও এক বছর। কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেড (কেএমআরসিএল) সূত্রে এমনই জানা গিয়েছে। বিপর্যয় সামলে বৌবাজার এলাকা দিয়ে ভবিষ্যতে কী ভাবে সুড়ঙ্গ শিয়ালদহের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে, তা নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন কর্তারা। হাইকোর্টের নির্দেশে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের একজন করে সদস্যকে বুধবার তাঁদের বাড়িতে ঢোকার অনুমতি দেয় পুলিশ।

Advertisement

বর্তমান সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে সবরকমের চেষ্টা চলছে। সাহায্য নেওয়া হচ্ছে বিশেষজ্ঞদের। ইতিমধ্যেই বিদেশ থেকে বেশ কয়েকজন সুড়ঙ্গ বিশেষজ্ঞ শহরে পা রেখেছেন। বুধবার সকালে তিন জন বিশেষজ্ঞ বৌবাজারে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। ধর্মতলার দিক থেকেও সুড়ঙ্গে নেমেছিলেন ওই বিশেষজ্ঞেরা। কী ভাবে এই বিপর্যয় মোকাবিলা করা যায়, সে বিষয়ে কেএমআরসিএল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ তাঁরা দিচ্ছেন।

বিপর্যয় সামলাতে ইতিমধ্যেইদক্ষিণ আফ্রিকার সুড়ঙ্গ-বিশেষজ্ঞ পল ভেরল কলকাতায় চলে এসেছেন। কেএমআরসিএল সূত্রে খবর, হংকং থেকে এসেছেন এক জন ভূতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ। সাহায্য নেওয়া হচ্ছে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আরও দুই বিশেষজ্ঞের।

Advertisement

এক দিকে যেমন সুড়ঙ্গের জল সরাতে নানা বিষয়ে আলোচনা চলছে। তেমনই ক্ষতিগ্রস্তদের দেখভালের বিষয়টিও গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে বলে দাবি কেএমআরসিএল কর্তৃপক্ষের। শহরের ৭টি হোটেলে প্রায় ৪০০ জনকে রাখার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: দিনের পর দিন যৌন হেনস্থা, গোয়ায় কোচের দুষ্কর্মের ভিডিয়ো তুলল বাংলার কিশোরী সাঁতারু

আরও পডু়ন: গেরুয়া পতাকা ধরতে গিয়ে পথহারা দশা, একের পর এক দরজায় কড়া নাড়ছেন দেবশ্রী

তাঁদের খাওয়াদাওয়া থেকে শুরু করে, কারও শরীর খারাপ হলে ওষুধের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। দুর্গা পিতুরি লেন, গৌর দে লেন এবং সেকরা পাড়া লেনের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, বাড়ি যাওয়ার জন্য অনুমতি মিলেছে ঠিকই, কিন্তু মাত্র ১০ মিনিট সময় দেওয়া হয়েছে। এই অল্প সময়ের মধ্যে মূল্যবান নথিপত্র-টাকাপয়সা বের করা সম্ভব নয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement