এমনই হবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর স্মার্ট কার্ড নিজস্ব চিত্র
শুধু কলকাতা নয়, মেট্রো রেল এ বার হাওড়া শহরেরও গর্ব! ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোকে অন্তত সে ভাবেই তুলে ধরতে চলেছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর স্মার্ট কার্ডে ওই মেট্রোকে তাই ‘যমজ শহরের গর্ব’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আলাদা করে কলকাতা বা হাওড়ার নাম উল্লেখ না করলেও একত্রে দুই শহরের গর্ব বলা হচ্ছে ওই মেট্রোকে।
গোটা পথে ট্রেন চলাচল শুরু হলে পশ্চিমে হাওড়া এবং পূর্বে কলকাতার মধ্যে যোগসূত্র তৈরি করবে ওই মেট্রো। সে কথা মাথায় রেখেই গঙ্গা তীরবর্তী দুই যমজ শহরকে একত্রে স্বীকৃতি দেওয়ার ভাবনা ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো কর্তৃপক্ষের।
হাল্কা নীল ও বেগুনি রঙের মিশেলে তৈরি স্মার্ট কার্ডের সামনের দিকের দু’পাশে থাকছে হাওড়া ব্রিজ এবং ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের ছবি। মাঝে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর রেক।
স্বাধীনতার আগে থেকেই হাওড়া ও শিয়ালদহ এ শহরের দুই প্রধান রেল স্টেশন হিসেবে রয়েছে। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো কর্তৃপক্ষের দাবি, নতুন ওই মেট্রো হাওড়া ও শিয়ালদহের মতো দুই আদি রেল স্টেশনকেও জুড়বে। তাই আক্ষরিক অর্থেই ওই মেট্রো গঙ্গার পূর্ব এবং পশ্চিম দিকের মধ্যে সেতু তৈরি করবে। সে কথা মাথায় রেখেই স্মার্ট কার্ডের প্রচ্ছদ পরিকল্পনায় দুই শহরের অস্তিত্বকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যদিও উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোর স্মার্ট কার্ডে শুধু কলকাতার কথাই আছে।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো কর্তৃপক্ষের মতে, নতুন মেট্রোর সঙ্গে যাতে দুই শহরের মানুষ একাত্ম বোধ করতে পারেন, সে কথা মাথায় রেখেই ওই ভাবনা। যমজ শহর হয়েও কলকাতার ব্যাপকতা এবং পরিচিতির কাছে হাওড়া চিরকালই কিছুটা উপেক্ষিত থেকেছে। সেই ভাবনা থেকেই যমজ শহরকে একসঙ্গে স্বীকৃতি দেওয়ার ভাবনা। মেট্রোর নুতন কার্ডের পিছনের দিকে থাকবে বাণিজ্যিক সংস্থার বিজ্ঞাপন। মেট্রোকর্তাদের দাবি, কার্ডের ওই অংশ বিজ্ঞাপনের জন্য ব্যবহার করতে দিয়ে আয় বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কার্ড উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোতেও ব্যবহার করা যাবে। পাশাপাশি, উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোর চালু কার্ড ব্যবহার করা যাবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয়। মেট্রোযাত্রার ক্ষেত্রে অবশ্য উত্তর-দক্ষিণ কিংবা পূর্ব-পশ্চিম সবই মিলে যাচ্ছে পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে।