ব্রিগেড সমাবেশে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বার্তা। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
ব্রিগেড সমাবেশের একেবারে শেষে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বার্তা পাঠ করেছেন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। শনিবার পাম অ্যাভেনিউতে গিয়ে ওই বার্তা নিয়ে এসেছিলেন তাঁরা। বুদ্ধ-বার্তা দিয়েই শেষ হল রবিবারের ব্রিগেড।
মিনাক্ষীর নিজের ভাষণ দেওয়া হয়ে গিয়েছিল আগেই। রবিবার ব্রিগেডে শেষ বক্তা ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তাঁর বক্তৃতার পরেই সমাবেশ শেষ হবে বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু সেলিম মঞ্চ থেকে নামার পরে আবার মঞ্চে ওঠেন মিনাক্ষী। ঘোষণা করা হয়, তিনি বুদ্ধদেবের বার্তা পাঠ করবেন।
মিনাক্ষী বলেন, ‘‘কমরেড বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য আমাদের ডিওয়াইএফআই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রাক্তন সম্পাদক। তাঁর বাড়িতে আমরা শনিবার গিয়েছিলাম। লড়াইয়ের উষ্ণতা নিয়েই ফিরেছি। ওঁর বার্তা উনি ওঁর স্ত্রী এবং মেয়ের মাধ্যমে আমাদের কাছে পাঠিয়েছেন। এটাই আমাদের লড়াইয়ের ডাক। এটাই ডিওয়াইএফআইকে উজ্জীবিত করেছিল।’’ এর পর রবীন্দ্রনাথের একটি গানের তিনটি লাইন পাঠ করেন মিনাক্ষী— ‘যেখানে ডাক পড়ে, জীবন মরণ ঝড়ে, আমরা প্রস্তুত।’ বুদ্ধদেবের বার্তায় বলা হয়, ‘‘এটাই ডিওয়াইএফআই। সুতরাং ব্রিগেডের সমাবেশ সাফল্যমণ্ডিত হবে।’’
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা পাঠ করে মিনাক্ষী বলেন, ‘‘আমরা আমাদের প্রাক্তনী, সংগঠকের সুস্থতা কামনা করছি।’’ উল্লেখ্য, ব্রিগেডে রবীন্দ্রগানের যে তিনটি পঙ্ক্তি মিনাক্ষী পাঠ করলেন, তা ‘আমরা নূতন যৌবনের দূত’ গানটির অংশ। এই গান রবি ঠাকুরের ‘তাসের দেশে’ নাটকে ব্যবহার করা হয়েছিল।
শনিবার পাম অ্যাভিনিউতে বুদ্ধদেবের বাড়িতে গিয়েছিলেন মিনাক্ষীরা। বেরিয়ে জানান, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ব্রিগেড সমাবেশের সাফল্য কামনা করেছেন। বড় এবং ভাল ব্রিগেড হবে বলে জানিয়েছেন। তার পর থেকেই মনে করা হচ্ছিল, রবিবার ব্রিগেডে বুদ্ধদেবের লিখিত আকারে কোনও বার্তা পাঠ করা হতে পারে।
বুদ্ধদেব শেষ বার ব্রিগেডে হাজির হয়েছিলেন ২০১৯ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি। তার আগে থেকেই তিনি গৃহবন্দি। সেই সভায় পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়ি থেকে এসে মঞ্চের নীচে গাড়িতেই বসেছিলেন বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা। নাকে লাগানো ছিল অক্সিজেনের নল। মিনিট ১৫ থেকেই ফিরে গিয়েছিলেন বাড়িতে। তার পরে ২০২১ সালের ভোটের সময়ে বুদ্ধদেবের একটি অডিয়োবার্তা প্রচার করেছিল সিপিএম।