DYFI Brigade Rally

মিনাক্ষীর হাত ধরে বুদ্ধদেব বললেন, বড় ব্রিগেড হবে রবিবার, পাম অ্যাভিনিউ থেকে বার্তা আনলেন যুবরা

দীনেশ মজুমদার ভবনের তরফে ব্রিগেড সমাবেশের জন্য একটি বার্তা চাওয়া হয়েছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেবের কাছে। তিনি সম্মতি দেওয়ায় রাতেই তাঁর বাসভবনে পৌঁছন দলের যুব নেতা-নেত্রীরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৪ ২১:০৭
Share:

গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

রাত পোহালেই সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই-এর ব্রিগেড সমাবেশ। রবিবারের সেই সমাবেশের আগে শনিবার রাতে বালিগঞ্জের পাম অ্যাভিনিউয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বাসভবনে গিয়েছিলেন যুব সংগঠনের রাজ্য নেতৃত্ব। বুদ্ধদেবের বাড়ি থেকে বেরিয়ে মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘উনি আমাদের হাত ধরে বলেছেন রবিবার ভাল ব্রিগেড হবে। বড় ব্রিগেড হবে।’’

Advertisement

গত শনিবার আনন্দবাজার অনলাইন লিখেছিল, ব্রিগেড সমাবেশে বুদ্ধদেবের বার্তা পাওয়ার জন্য চেষ্টা করবেন বাম যুবরা। তবে সবটাই নির্ভর করছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্যের উপর। শনিবার সন্ধ্যায় বাম যুব নেতৃত্বকে বুদ্ধদেবের পরিবারের তরফে জানানো হয়, তিনি বার্তা দিতে পারবেন। তার পরেই রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ পাম অ্যাভিনিউতে পৌঁছন যুব নেতৃত্ব।

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যান ডিওয়াইএফআই রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা, রাজ্য সম্পাদক মিনাক্ষী, পত্রিকা সম্পাদক কলতান দাশগুপ্ত প্রমূখ। সূত্রের খবর, তাঁদের হাতেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা তুলে দেওয়া হয়েছে। রবিবারের সভায় সিপিএমের যুবদের জন্য বুদ্ধদেবের পাঠানো বার্তা পাঠ করা হতে পারে। সেখানেই স্পষ্ট হয়ে যাবে, বাম মনোভাবাপন্ন রাজ্যের মানুষের প্রতি তিনি কী বার্তা দিতে চেয়েছেন। প্রসঙ্গত, ডিওয়াইএফআই সর্বভারতীয় সংগঠন হওয়ার আগে বাংলারই সংগঠন ছিল। সেই সংগঠনের নাম ছিল ডিওয়াইএফ। ১৯৬৭ সালে তৈরি সেই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন বুদ্ধদেব। তাই পশ্চিমবঙ্গের ডিওয়াইএফআই সংগঠনের কাছে তাঁর বার্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Advertisement

বুদ্ধদেব শেষ বার ব্রিগেডে হাজির হয়েছিলেন ২০১৯ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি। তার আগে থেকেই তিনি গৃহবন্দি। সেই সভায় পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়ি থেকে এসে মঞ্চের নীচে গাড়িতেই বসেছিলেন বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা। নাকে লাগানো ছিল অক্সিজেনের নল। মিনিট ১৫ থেকেই ফের ফিরে গিয়েছিলেন বাড়িতে। তার পরে ২০২১ সালের ভোটের সময়ে বুদ্ধদেবের একটি অডিয়োবার্তা প্রচার করেছিল সিপিএম। এ বার অডিয়োবার্তা না হলেও একটি সংক্ষিপ্ত লিখিত বার্তা পেতে চাইছে সিপিএমের যুব সংগঠন। কিন্তু তিনি কথা বলার অবস্থায় কতটা থাকবেন, তার উপর পুরোটা নির্ভর করছে। শেষ বার বুদ্ধদেব ব্রিগেডে এসেছিলেন প্রায় পাঁচ বছর আগে। এই পাঁচ বছরে তাঁকে বার তিনেক হাসপাতালেও ভর্তি থাকতে হয় বেশ কয়েক দিন করে। গত অগস্টেও তাঁকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকতে হয়েছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement