কাশী বোস লেনের পুজো। নিজস্ব চিত্র
করোনা সংক্রমণ রুখতে পুজো মণ্ডপগুলিতে দর্শনার্থীদের ঢোকার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি-সহ বেশ কিছু নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তাই এ বার হেঁটে নয়, নেটেই পুজো দেখার ভিড়। প্যান্ডাল হপিং চলছে ভার্চুয়ালি। আনন্দবাজার ডিজিটালও দর্শকদের পৌঁছে দিচ্ছে কলকাতার বিভিন্ন মণ্ডপে। বৃহস্পতিবার, ষষ্ঠী তিথিতে আমরা পৌঁছে গিয়েছিলাম বড়িশা ক্লাব এবং কাশী বোস লেনের পুজো মণ্ডপে।
লকডাউন চলাকালীন গত কয়েক মাস ধরে পরিযায়ী শ্রমিকদের জীবনযাপনের মর্মান্তিক দৃশ্য দেখেছে গোটা দেশ, তারই প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে বড়িশা ক্লাবের দুর্গাপুজোয়। শিল্পীর কল্পনায় সেখানে পরিযায়ী শ্রমিকের বধূর বেশে ত্রাণভিক্ষা করতে মর্ত্যে আবির্ভূত হয়েছেন উমা। তাঁর কোলে কার্তিক। লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশকে নিয়ে মণ্ডপে দুর্গা। পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার ছবি তুলে ধরেছেন শিল্পী রিন্টু দাস। বড়িশা ক্লাবের এই থিম ইতিমধ্যেই মন কেড়েছে অনেকের। তবে তা নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি।
ঘটেই প্রাণ প্রতিষ্ঠা। পুজোর সেই উপাচারকেই মূল আঙ্গিক হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে কাশী বোস লেনে। শিল্পী পরিমল পালের পরিকল্পনায় এ বার কলকাতার ওই নামজাদা পুজোর থিম ঘট। কাঠ, খড়, দড়ি, কাপড় এবং গামছা ইত্যাদি দিয়ে সাজানো হয়েছে মণ্ডপ।
আরও পড়ুন: মা লক্ষ্মী ঘরের মেয়ে, তাই বিদায় দেয় না বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার
আরও পড়ুন: পুজোর হাওয়া আর পোড়-খাওয়া চিরকুটের গল্প