প্রতীকী ছবি।
করোনার প্রতিষেধকের দু’টি ডোজ় নেওয়া থাকলে তবেই পুজো মণ্ডপের ভিতরে পুষ্পাঞ্জলি, আরতি বা সিঁদুরখেলায় অংশ নেওয়া যাবে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। ছোট পুজোর ক্ষেত্রে ১৫ জন এবং বড় পুজোর ক্ষেত্রে ৪৫ জন একসঙ্গে তাতে অংশ নিতে পারবেন বলেও জানিয়েছে আদালত। সেই নির্দেশের পরেই পুলিশের একাংশের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছিল, প্রতিষেধকের শংসাপত্র ভুয়ো না আসল, তা বোঝা যাবে কী ভাবে? এমনকি, কেউ যদি অন্যের শংসাপত্র নিয়ে মণ্ডপে আসেন, তাঁকেই বা কী ভাবে আটকানো যাবে? সেই বিভ্রান্তি দূর করে শুক্রবার লালবাজার জানাল, পুষ্পাঞ্জলি, আরতি বা সিঁদুরখেলায় অংশগ্রহণকারীদের করোনা প্রতিষেধকের শংসাপত্র খতিয়ে দেখবে সংশ্লিষ্ট পুজো কমিটি। কমিটির সদস্যদের সাহায্য করবেন মণ্ডপে উপস্থিত পুলিশকর্মীরা। এর জন্য তাঁদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, এ বারই প্রথম শহরের ছোট পুজো মণ্ডপগুলির বাইরেও পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
পুলিশের একাংশ জানাচ্ছে, আদালতের নির্দেশ নিয়ে বৃহস্পতিবারই সব মহলে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। পরে অবশ্য বিভ্রান্তি দূর করে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সদর) শুভঙ্কর সিংহ সরকার জানান, গত বছরের মতো এ বারও দর্শকশূন্যই থাকবে পুজো মণ্ডপ। ছোট মণ্ডপের ক্ষেত্রে পাঁচ মিটার এবং বড় পুজো মণ্ডপের ক্ষেত্রে দশ মিটার দূর থেকে দর্শনার্থীরা প্রতিমা দর্শন করতে পারবেন। মণ্ডপের বাইরে থেকে প্রতিমা দর্শনের সময়ে মেনে চলতে হবে শারীরিক দূরত্ব-বিধিও।
প্রসঙ্গত, চতুর্থী থেকেই পুজোর ভিড় সামলাতে রাস্তায় নামছে পুলিশ। এরই মধ্যে বিভিন্ন মহল থেকে পুলিশকর্তাদের কাছে এই বিভ্রান্তির খবর আসতে থাকে। তার পরেই নড়ে বসেন কলকাতা পুলিশের শীর্ষ কর্তারা। লালবাজার সূত্রের খবর, পুলিশের তরফে আইনজীবী মহলে যোগাযোগ করে আদালতের নির্দেশের ব্যাখ্যা শোনা হয়। সেই ব্যাখ্যা ফোনে জানিয়ে দেওয়া হয় পুজোর ডিউটিতে থাকা পুলিশকর্মীদের। আদালতের রায় নিয়ে বাহিনীর মধ্যে যাতে কোনও অস্পষ্টতা না থাকে, তার জন্য বাহিনীর সর্বস্তরেও তা জানিয়ে দেওয়া হয়।
অন্য দিকে, শুক্রবার লালবাজারে পুলিশের গাইড ম্যাপের উদ্বোধন করেন পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম কমিশনার (ট্র্যাফিক) সন্তোষ পাণ্ডে, ডেপুটি কমিশনার (ট্র্যাফিক) অরিজিৎ সিংহ-সহ পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা।