ছবি পিটিআই।
কিছু ক্লাব প্রথা মেনে মঙ্গলবার প্রতিমা বিসর্জন দেয়নি, তাই উত্তর শহরতলির বেশ কিছু জায়গায় বিসর্জন চলল বুধবারও। কিছু জায়গায় বিধি না-মানার অভিযোগ উঠলেও এ দিন বেশির ভাগ জায়গাতেই নিয়ম মেনে, পুলিশি পাহারায় দ্বিতীয় দফার বিসর্জন হয়।
তবে প্রথা মানার পাশাপাশি ভিড় এড়াতেও মঙ্গলবারের বদলে বুধবার প্রতিমা বিসর্জনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুজো কমিটিগুলি। এ দিন দমদম, নিউ ব্যারাকপুর, মধ্যমগ্রাম, বারাসত, বামনগাছি, দত্তপুকুরের কিছু জায়গায় বিসর্জনের আগে হাইকোর্টের নির্দেশ অগ্রাহ্য করে সিঁদুর খেলা চলে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নিউ ব্যারাকপুরে সিঁদুর খেলা এবং প্রতিমা নিয়ে যাওয়ার সময়ে মাস্ক পরতে দেখা যায়নি কয়েক জনকে। ওই এলাকার একটি ক্লাবের সদস্য সীমা হালদার বলেন, ‘‘হাত জীবাণুমুক্ত করেই সিঁদুর খেলা হয়েছে।’’ দত্তপুকুরের একটি ক্লাবে বিসর্জনের আগে জমায়েত করে মাইক-ডিজে বাজিয়ে নাচানাচি হয় বলে অভিযোগ। অনেকেরই মুখে ছিল না মাস্ক। তবে এ দিন রাস্তায় ও ঘাটে ছিল পুলিশি পাহারা। মাস্ক না পরলে বিসর্জনের সমাবেশে থাকতে দেয়নি পুলিশ।
এ বিষয়ে বারাসত পুরসভার প্রশাসক সুনীল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কোথাও যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সবাই যাতে মাস্ক পরে, দূরত্ব-বিধি মেনে বিসর্জন দেন, সে দিকে নজর দেওয়া হয়েছে।’’ অকারণে জটলা করা, মাস্ক না-পরার জন্য এ দিনও চলে ধরপাকড়। বারাসত পুলিশ জেলার সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বলেন, ‘‘নিয়ম মেনেই বিসর্জন হয়েছে। আলাদা কোনও অনুষ্ঠান বা জমায়েত নিষিদ্ধ থাকায় মানুষ কিছুটা কম ভিড় করেছেন। মাস্ক না-পরা ও গোলমাল পাকানোর কারণে কয়েক জনকে আটক করা হয়েছে।’’