উত্তর দমদম পুরসভা। —ফাইল ছবি।
কোষাগারে টান আগেই পড়েছিল। যার জেরে কর্মীদের একাংশের বেতন এক বারে না দিয়ে দুই দফাতেও দিতে হয়েছে। এই অবস্থায় আয় বৃদ্ধির চেষ্টা শুরু করেছে উত্তর দমদম পুরসভা।
পুরসভা সূত্রের খবর, সম্পত্তিকর থেকে যা আয় হয়, তা কয়েক গুণ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। পুর প্রশাসনের একাংশের কথায়, সম্পত্তিকরের ঠিক পুনর্মূল্যায়ন হলে কয়েক গুণ বেশি কর আদায় হতে পারে। যদিও দীর্ঘ প্রায় দেড় দশক সেই পুনর্মূল্যায়ন হয়নি। অবশেষে তা করতে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন। উত্তর দমদম পুরসভা জানিয়েছে, রাজ্য মূল্যায়ন পর্ষদ এই কাজ করবে। এ বিষয়ে প্রশিক্ষণের কাজ মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে। এর পরে মূল কাজ শুরু হবে।
এক পুরকর্তা জানান, এখনও অনেক সম্পত্তির যথাযথ মূল্যায়ন হয়নি বলেই তাঁদের অনুমান। আগে যে বাড়ি একতলা ছিল, সেটি দোতলা হয়েছে, অথচ, কর নেওয়া হচ্ছে একতলা বাড়ির হিসাবে— এমন উদাহরণ পাওয়ারও সম্ভাবনা বেশি। তাই সম্পত্তিকর পুনর্মূল্যায়নের বিশেষ প্রয়োজন। তা ছাড়া, বহু ক্ষেত্রে সম্পত্তির ব্যবহারের ধরনে বদল ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। আগে বসত বাড়ি হিসাবে নথিভুক্ত থাকলেও এখন বহু বাড়ি বা বাড়ির একাংশ বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রেও কর কাঠামোর পরিবর্তন হওয়া দরকার।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের কথায়, দীর্ঘদিন যে এই পুনর্মূল্যায়নের কাজ হয়নি, তার দায় প্রশাসনেরই। তাই বাসিন্দাদের উপরে একেবারে বেশি করের বোঝা যাতে না চাপে, তা প্রশাসনকেই দেখতে হবে বলেও দাবি তাঁদের। পুরসভা অবশ্য জানিয়েছে, মানুষের উপরে করের বোঝা যাতে এক বারে না চাপে, সেই দিকটিও তারা দেখবে।
উত্তর দমদম পুরসভার আর্থিক সীমাবদ্ধতার কথা আগেই সামনে এসেছিল। পুরকর্তাদের একাংশ জানিয়েছিলেন, আর্থিক সমস্যা রয়েছে, তবে তার জন্য পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটেনি। আয় বাড়িয়ে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা। এর আগে আয় বৃদ্ধির পরিকল্পনার অঙ্গ হিসাবে বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহৃত সম্পত্তির ক্ষেত্রে নজর দেওয়া হয়েছিল। উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাস জানান, সম্পত্তির পুনর্মূল্যায়ন হলে পুরসভার নিজস্ব আয় বাড়বে।