Dum Dum Police Station

অভিযোগকারীকে না জানিয়েই তৈরি চার্জশিট

পুলিশি তদন্ত নিয়ে আক্ষেপ থাকলেও একটি বিষয়ে স্তম্ভিত দমদমের সুভাষনগর রোডের বাসিন্দা সমীরকুমার ঘোষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:৩৯
Share:

দমদম থানা

বাড়ি থেকে চুরি গিয়েছিল ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, মোবাইল ফোন। সেই ল্যাপটপে প্রচুর জরুরি নথি ছিল বাড়ির ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া ছেলের। সেই চুরির পরে পার হয়ে গিয়েছে এক বছরেরও বেশি সময়। কিন্তু কিনারা হয়নি।

Advertisement

পুলিশি তদন্ত নিয়ে আক্ষেপ থাকলেও একটি বিষয়ে স্তম্ভিত দমদমের সুভাষনগর রোডের বাসিন্দা সমীরকুমার ঘোষ। কারণ, সেই মামলার চার্জশিট নাকি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু অভিযোগ, দমদম থানা থেকে সমীরবাবুকে কিছু জানানো হয়নি। যদিও এই মামলার বিষয়ে জানতে চেয়ে বারবার দমদম থানার তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তাঁরা।

সমীরবাবু জানান, ২০১৭ সালের অক্টোবরে ওই চুরির ঘটনা ঘটে। তাঁর ছেলে অভিযোগ জানাতে দমদম থানায় গেলে দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখা হয় বলে অভিযোগ। সমীরবাবু বলেন, ‘‘আমার ছেলের সব প্রজেক্টই ছিল ল্যাপটপে। ও পরপর কয়েক দিন থানায় গিয়েছিল খোঁজ নেওয়ার জন্য। তদন্তকারী অফিসার শেষ পর্যন্ত দুর্ব্যবহার করতে শুরু করেন।’’

Advertisement

সমীরবাবু জানান, উপায়ান্তর না দেখে তিনি ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডিসিপি এবং এসিপি-র কাছে যান। অভিযোগ, এর জেরে দমদম থানার তদন্তকারী অফিসারের রোষের মুখে পড়তে হয় তাঁদের। দিন কয়েক ঘোরার পরে ডিসি-র অফিস থেকে দমদম থানায় খোঁজ নিয়ে তাঁকে জানানো হয়, মামলার চার্জশিট হয়ে গিয়েছে। তার পরে থানা থেকে তাঁকে এফআইআর-এর প্রতিলিপি দেওয়া হয়। সমীরবাবুর প্রশ্ন, ‘‘আমার মামলা, অথচ আমাকেই জানানো হল না?’’ ব্যারাকপুর কমিশনারেটের বক্তব্য, সমীরবাবু ডিসি অফিসে জানানোর পরেই তাঁকে তাঁর মামলার বিষয়ে জানানো হয়েছে। তিনি যদি নতুন করে কোনও অভিযোগ করেন, তা হলে তার তদন্ত হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement