Dum Dum municipality

Mosquitoes: বর্ষার আগেই মশা নিয়ন্ত্রণে জোর দমদম পুরসভার

পুরসভা সূত্রের খবর, প্রতিটি ওয়ার্ডে ইতিমধ্যেই মশা মারার ওষুধ স্প্রে করা, ব্লিচিং ছড়ানো ও সাফাইয়ের কাজ শুরু করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ মে ২০২২ ০৫:০৩
Share:

ফাইল চিত্র।

মশার প্রকোপ আগের থেকে কিছুটা কমলেও গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখে বর্ষার আগেই মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে আরও বেশি জোর দিতে চলেছে দমদম পুরসভা। সম্প্রতি চেয়ারম্যান পরিষদের বৈঠকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

পুরসভা সূত্রের খবর, প্রতিটি ওয়ার্ডে ইতিমধ্যেই মশা মারার ওষুধ স্প্রে করা, ব্লিচিং ছড়ানো ও সাফাইয়ের কাজ শুরু করা হয়েছে। সেই কাজই আরও জোরদার করতে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বিশেষত, বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজে বেশি করে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

পুরকর্তাদের একাংশের দাবি, দমদমে মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ বছরভর হওয়ার ফলেই ডেঙ্গি, চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়ার মতো রোগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে তাঁরা বলছেন, বর্ষার আগেই মশার বংশবিস্তার নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। পুরকর্তারা জানাচ্ছেন, মশা মারার পাশাপাশি পরিচ্ছন্নতার উপরেও বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে দিনের বেলা আবর্জনা সাফাইয়ের পাশাপাশি বিকেল ও রাতের দিকেও সাফাইকাজ করানো হচ্ছে। এর জন্য রেন্দ্রীয় ভাবে একটি বিশেষ দলও তৈরি করা হয়েছে।

Advertisement

বাসিন্দাদের একাংশের অবশ্য অভিযোগ, পরিচ্ছন্নতা রক্ষার কাজে আরও বেশি করে জোর দেওয়া প্রয়োজন। কারণ, নাগরিকদেরই অনেকে যত্রতত্র আবর্জনা ফেলেন। এই প্রবণতা কিছুতেই বন্ধ করা যাচ্ছে না। শুধু রাস্তায় নয়, খাল, নিকাশি নালা এবং জলাশয়েও আবর্জনা ফেলা হচ্ছে নিয়মিত। যার মধ্যে প্লাস্টিক ও থার্মোকলের মতো অ-পচনশীল সামগ্রীও থাকে। বৃষ্টি শুরু হলে এই আবর্জনার কারণেই মশার বংশবৃদ্ধি ঘটে।

সৌমেন বসাক নামে স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘খাল সংলগ্ন এলাকায় মশার প্রকোপ রয়েছে। সংস্কারের অভাবে খাল, নালা ও জলাশয়গুলির নাব্যতা কমে যাওয়ায় জলের প্রবাহ নেই বললেই চলে। তার মধ্যে আবর্জনা পড়ে পরিস্থিতি আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। এই দিকটিও পুরসভার ভেবে দেখা প্রয়োজন।’’

দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বরুণ নট্ট জানান, প্রতিটি ওয়ার্ডেই মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু হয়েছে। বর্ষার মরসুমে রাস্তায় জল জমে মশার আঁতুড়ঘর যাতে তৈরি না হতে পারে, তার জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি, বাড়ি বাড়ি ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করছেন পুরকর্মীরা। এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে মশাবাহিত রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য প্রচারেও জোর দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। বর্ষার আগেই মশা নিয়ন্ত্রণের যাবতীয় কাজ সেরে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement