কীটনাশকের ঝাঁঝালো গন্ধে অসুস্থ হয়ে পড়লেন সেখানকার ১৪ জন কর্মী। প্রতীকী ছবি।
অফিসে ঢোকার সময়ে কীটনাশকের ঝাঁঝালো গন্ধে অসুস্থ হয়ে পড়লেন সেখানকার ১৪ জন কর্মী। তাঁদের মধ্যে তিন জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, হেয়ার স্ট্রিট থানা এলাকার আর এন মুখার্জি রোডে একটি বহুতল বাণিজ্যিক ভবন রয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টা নাগাদ সেই ভবনেরই চারতলার একটি বেসরকারি অফিসে ঢুকছিলেন কর্মীরা। সেই অফিসে কীটনাশক ছড়ানো হয়েছিল। সেটির ঝাঁঝালো গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা অফিসে। ভিতরে ঢোকার সময়ে ওই গন্ধে ১৪ জন কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েন। সংজ্ঞাও হারান বেশ কয়েক জন।
পুলিশ জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় ওই বেসরকারি অফিসে কীটনাশক ছড়ানো হয়েছিল। তার পর থেকে সারা রাত সেখানকার দরজা-জানলা ছিল বন্ধ। মঙ্গলবার সকালে দরজা খুলতেই ঝাঁঝালো রাসায়নিকের তীব্র গন্ধ নাকে আসে সকলের। সেই গন্ধে অসুস্থ হয়ে পড়া ১৪ জনকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তিন জনকে ভর্তি করা হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিনের ঘটনায় গোটা ভবনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। চারতলা ওই বাড়িতে একাধিক অফিস রয়েছে। এ দিন যে বেসরকারি অফিসে ঘটনাটি ঘটে, তার পাশেই রয়েছে আর একটি বেসরকারি অফিস। সেই অফিসের কর্মীরা জানালেন, সকালে অফিসে ঢোকার সময়ে তাঁরাও তীব্র গন্ধ পেয়েছিলেন। শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। এক কর্মী বলেন, ‘‘পাশের অফিসের অত জনকে অসুস্থ হয়ে পড়তে দেখে আমরাও আতঙ্কে নীচে নেমে যাই।’’ এ দিনের ঘটনার পরে হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ এসে ওই বেসরকারি অফিসের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে। ওই অফিস থেকে বেশ কিছু সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যান তদন্তকারীরা। পুলিশ জানিয়েছে, কীটনাশকের মাত্রা বেশি হয়ে গিয়েছিল। ওই অফিসের এক কর্মীর কথায়, ‘‘বড়সড় বিপদ ঘটতে পারত।’’ পুলিশ জানিয়েছে, কী ধরনের কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়েছিল, সে বিষয়ে ওই বেসরকারি অফিসের কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।