ফাইল চিত্র।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে করোনা চিকিৎসার জন্য মজুত করা হয়েছিল কোটি কোটি টাকার জীবনদায়ী ওষুধ।কয়েক মাস আগে এই ওষুধ জোগাড় করতেই বেশ বেগ পেতে হয়েছিল। এখন তা নিয়েই বিপাকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।
সূত্রের খবর, মেডিক্যাল কলেজের বিভিন্ন ওয়ার্ড এবং ফার্মাসিতে পড়ে রয়েছে কয়েক কোটি টাকার ওষুধ। অবস্থার কথা জানানো হয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে দুর্মূল্য এই ওষুধ নষ্ট হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মেডিক্যালে কোন ওষুধ কত পরিমানে রয়েছে তা জানতে চাওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। মেডিক্যাল কলেজের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘আমাদের কাছে কোন জীবনদায়ী ওষুধ কত পরিমাণ আছে তা কয়েকদিনের মধ্যেই দাম সহ স্বাস্থ্য দফতরকে জানিয়ে দেওয়া হবে।” এই মূহুর্তে রাজ্য সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোর থেকে পাওয়া ২,৩৭৪টি রেমডিসিভির, জিঙ্ক সালফেট ১লাখ ৮৬হাজার ২০০টি, ১৬৮ ভায়াল টসিলিজুমাব-সহ আরও বেশ কিছু ওষুধ মজুত রয়েছে মেডিক্যাল কলেজের বিভিন্ন বিভাগে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় রেমডেসিভির থেকে শুরু করে মিউকরমাউকোসিসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত জীবনদায়ী ওষুধ কেনে স্বাস্থ্য দফতর। সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরের মাধ্যমে তা পাঠিয়ে দেওয়া হয় হাসপাতালগুলিতে। ৪৩৩ শয্যার মেডিক্যাল কলেজে বেশি সংখ্যায় করোনা রোগী ভর্তি থাকায় ওষুধের পরিমাণও ছিল বেশি। কিন্তু এখন এই হাসপাতালে রয়েছেন মাত্র ৩৫জন করোনা রোগী। ওষুধও লাগছে কম। ফলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চাইছেন, পড়ে থাকা ওষুধের ব্যবস্থা করুক স্বাস্থ্য ভবন। স্বাস্থ্য ভবনের এক কর্তা এই প্রসঙ্গে বলেন, “অনেক ওষুধেরই মেয়াদ ফুরতে দেরি আছে। তার আগে সব ওষুধের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।”