Drugs

পাচারের পথে আটক ৩৫ কোটির মাদক

এসটিএফ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বিকেল চারটে নাগাদ তপসিয়া থানা এলাকায় একটি মোটরবাইক আটক করেন গোয়েন্দারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২১ ০৭:৩৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

ফের শহর থেকে উদ্ধার হল বহু কোটি টাকার মাদক। বৃহস্পতিবার তপসিয়া থানা এলাকার হিন্দু কবরস্থানের কাছ থেকে ওই মাদক বাজেয়াপ্ত করেছেন কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) গোয়েন্দারা। গ্রেফতার করা হয়েছে দুই মাদক কারবারিকেও।

Advertisement

এসটিএফ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বিকেল চারটে নাগাদ তপসিয়া থানা এলাকায় একটি মোটরবাইক আটক করেন গোয়েন্দারা। তল্লাশি চালিয়ে সেখান থেকে উদ্ধার হয় ৭ কেজি ১০০ গ্রাম হেরোইন। যার বাজারদর প্রায় ৩৫ কোটি টাকা বলে দাবি অফিসারদের। ঘটনাস্থল থেকে ধরা হয় দু’জন পাচারকারীকে। তাদের নাম আবদুল্লা খোন্দকর এবং আকবর হোসেন। আবদুল্লার বাড়ি বনগাঁয়, আকবর বেনিয়াপুকুরের বাসিন্দা। তারা এন্টালি ও টিটাগড়ে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকত। ধৃতদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। আবদুল্লা এবং আকবরকে শুক্রবার বিচারভবনের বিশেষ মাদক আদালতে তোলা হলে আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। উল্লেখ্য, সপ্তাহখানেক আগেই কলকাতা পুলিশের সশস্ত্র বাহিনীর দুই কনস্টেবল-সহ পাঁচ জনকে মাদক পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল এসটিএফ। ধৃতদের থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছিল এক কেজি হেরোইন। তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, রীতিমতো লোক নিয়োগ করে কলকাতা পুলিশের ওই দুই কনস্টেবল মাদকের ব্যবসা ফেঁদে বসেছিল। তবে তপসিয়া থেকে গ্রেফতার হওয়া দুই পাচারকারীর সঙ্গে কলকাতা পুলিশের ওই দুই কর্মীর যোগাযোগ নেই বলেই প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে।

পুলিশের একাংশ জানাচ্ছে, এই মুহূর্তে মাদক পাচারের ‘ট্রানজ়িট রুট’ হয়ে উঠেছে কলকাতা। এখান দিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদক বিভিন্ন জায়গায় পাচার করা হচ্ছে। তপসিয়া থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া ওই মাদক পূর্ব ভারত থেকে আনা হয়েছিল বলে গোয়েন্দা সূত্রের খবর। ধৃত আবদুল্লা এবং আকবরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোয়েন্দারা এক প্রকার নিশ্চিত, এই বিপুল পরিমাণ মাদক বাইরে কোথাও পাচারের ছক ছিল তাদের। তবে কোথায় তা পাচার করা হচ্ছিল, সেই তথ্য জানার জন্য ধৃতদের আরও জেরা করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। একই সঙ্গে গোয়েন্দাদের অনুমান, এই চক্রটি বেশ বড়। তাতে আন্তর্জাতিক যোগের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি তাঁরা। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে এই চক্রে জড়িত কয়েক জনের নাম উঠে এসেছে। ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হবে বলে জানিয়েছে এসটিএফ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement