প্লাস্টিকে রুদ্ধ নিকাশি, ভোগান্তি 

পুরসভার দাবি, নিকাশি নালা মাঝেমধ্যেই পরিষ্কার করা হয়। তা সত্ত্বেও পরিস্থিতি খারাপ। এ জন্য সাধারণ মানুষের অসচেতনতাকেই দায়ী করছে তারা।

Advertisement

কাজল গুপ্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০১৯ ০১:৩৫
Share:

আবর্জনায় বুজে গিয়েছে মহেশতলার মণিখাল। রবিবার। ছবি: অরুণ লোধ

বারবার প্রচার সত্ত্বেও প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে সাধারণ মানুষের বড় অংশ এখনও অসচেতন। যার জেরে শুক্রবারের একটানা বৃষ্টির পরে বিধাননগর পুর এলাকা, নবদিগন্ত, নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি এবং হিডকো এলাকায় অতিরিক্ত সংখ্যক পাম্প চালিয়েও জল নামাতে বহু সময় লেগে গিয়েছে।

Advertisement

এর কারণ হিসেবে প্রশাসনের কর্তারা জানাচ্ছেন, বহু জায়গায় নিকাশি নালার মুখ প্লাস্টিক এবং প্লাস্টিকজাত জিনিসে রুদ্ধ হয়ে রয়েছে। যার জেরে জল বেরোতে পারছে না। ফলে শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে সল্টলেকের ডিডি ব্লক, করুণাময়ী আবাসন, এবি-এসি থেকে শুরু করে বেশ কয়েকটি ব্লক, সুকান্তনগর জলমগ্ন হয়ে যায়। পাশাপাশি, জোয়ার এবং বৃষ্টির জল নিষ্কাশন কেন্দ্রে বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকাও জল জমার অন্য কারণ বলে জানাচ্ছেন এক পুর কর্তা।

পুরসভার দাবি, নিকাশি নালা মাঝেমধ্যেই পরিষ্কার করা হয়। তা সত্ত্বেও পরিস্থিতি খারাপ। এ জন্য সাধারণ মানুষের অসচেতনতাকেই দায়ী করছে তারা। সুকান্তনগর এলাকার নালা থেকে বিপুল পরিমাণে প্লাস্টিক, প্লাস্টিকজাত জিনিস, তোশক, চেয়ার-টেবিল এবং আলমারির ভাঙা অংশ সেই দাবিরই সত্যতা প্রমাণ করছে। বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তীও এই সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি জানান, বারবার প্রচার করেও বড় অংশের বাসিন্দাদের মধ্যে সচেতনতা ফেরানো যাচ্ছে না। নিকাশি থেকে প্লাস্টিক-সহ বর্জ্য তোলার পর পরেই ফের এক অবস্থা হচ্ছে।

Advertisement

অপেক্ষাকৃত নবীন উপনগরী নিউ টাউনেও জমা জলের কারণে সমস্যায় পড়েছেন নবদিগন্ত শিল্পনগরী কর্তৃপক্ষ, নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি এবং হিডকো কর্তৃপক্ষ। ওই সব সংস্থার অধীন এলাকায় অতিরিক্ত সংখ্যক পাম্প চালিয়েও জল দ্রুত নামানো সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন কর্তারা। এর অন্যতম কারণ হিসেবে তাঁরা যথেচ্ছ প্লাস্টিককে দায়ী করেছেন। হিডকোর এক কর্তা জানান, নিকাশি নালা পরিষ্কার করতে গিয়ে শুধুই প্লাস্টিকের জিনিস উঠছে। এ জন্য বিপুল অর্থ খরচও হয়ে যাচ্ছে। তবু কোনও লাভ হচ্ছে না। কারণ, প্লাস্টিক বা গৃহস্থালির বর্জ্য যত্রতত্র ফেলার প্রবণতা বন্ধ করা যাচ্ছে না। বাসিন্দাদের প্রশ্ন, বিকল্প না থাকলে প্লাস্টিকের ব্যবহার কী ভাবে বন্ধ করা সম্ভব?

বিকল্পের ভাবনা কেন হচ্ছে না? প্রশাসনের মতে, বিক্ষিপ্ত ভাবে দু’-একটি এলাকায় কাপড় বা কাগজের ব্যাগ সরবরাহ করা হয়েছে। এ কারণে প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে বড় সাফল্য আসেনি বলে মত পরিবেশবিদদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement