চিড়িয়াখানা চত্বরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। — নিজস্ব চিত্র।
বিশ্ব পরিবেশ দিবসকে নতুন ভাবে উদ্যাপন করল ডক্টরস্ চয়েস। আলিপুর চিড়িখানায় গিয়ে তারা ১০টি পশু দত্তক নিল। ওই পশুগুলির পরিচর্যা এবং দেখাশোনার দায়িত্ব নিয়েছে তারা। পরিবেশ দিবস মানেই যে শুধু গাছপালা নয়, পশুরাও যে পরিবেশেরই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, এই উদ্যোগের মাধ্যমে সেই বার্তাই দিয়েছে ডক্টরস্ চয়েস।
বুধবার, ৫ জুন ছিল বিশ্ব পরিবেশ দিবস। সেই উপলক্ষে কলকাতার আলিপুরে চিড়িখানায় একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল ডক্টরস্ চয়েসের তরফে। পশ্চিমবঙ্গ চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের (ডব্লিউবিজ়েডএ) এমএস সৌরভ চৌধুরী ডক্টরস্ চয়েসের ১০টি পশু দত্তক নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন ওই অনুষ্ঠানেই। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বন দফতরের প্রতিমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা। এ ছাড়া, ডক্টরস্ চয়েসের এমডি তথা সিইও বিজয় আগরওয়াল, আইটি বিভাগের প্রধান সূর্য আগরওয়াল এবং মার্কেটিং ও কমিউনিকেশন বিভাগের প্রধান শিবম আগরওয়াল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
শুধু পশু দত্তক নেওয়াই নয়, বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বুধবার ডক্টরস্ চয়েসের কর্মকর্তারা চিড়িয়াখানা চত্বরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিরও আয়োজন করেছিলেন। বেশ কিছু গাছ লাগিয়েছেন তাঁরা। অনুষ্ঠানে ডাকা হয়েছিল শহরের বিভিন্ন স্কুল এবং কলেজের ছাত্রছাত্রীদের। পশু দত্তক নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা, বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব বোঝানো হয় তাঁদের। ভবিষ্যতে তাঁদেরও এই কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করা হয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে।
বুধবার চিড়িয়াখানার এই অনুষ্ঠানে ২৫০ জন দুঃস্থ শিশুকেও শামিল করা হয়েছিল। ‘ক্যালকাটা রাউন্ড টেবিল ৪’-এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তাদের ডেকেছিল ডক্টরস্ চয়েস। চিড়িয়াখানার কর্মী এবং কেয়ারটেকারদের কাজের প্রতি সম্মান জানিয়ে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয় নতুন টি-শার্ট। এখানেই শেষ নয়, যে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ডক্টরস্ চয়েসের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিল, এই উদ্যোগে অনুপ্রাণিত হয়ে তারাও ভবিষ্যতে চিড়িয়াখানার পশু দত্তক নেবে বলে কথা দিয়েছে।