এক চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ উঠল স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। ওই চিকিৎসক বিজেপির সমর্থক হিসেবে পরিচিত।
মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে নরেন্দ্রপুর থানার খেয়াদা-২ নম্বর পঞ্চায়েতের সুকান্ত পার্ক এলাকায়। চিকিৎসক সুদীপ দাসের অভিযোগ, এ দিন সকালে এক দল দুষ্কৃতী স্থানীয় সোনারপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, তৃণমূলের প্রবীর সরকারের নেতৃত্বে তাঁর ওষুধের দোকানে হামলা চালায়। তাঁকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। মোটরবাইকে চেপে কুড়ি জন দুষ্কৃতী হামলা চালায় বলে সুদীপবাবুর অভিযোগ। সুদীপবাবুর দাবি, ‘‘নির্বাচনে আমি বিজেপির বুথ এজেন্ট হয়েছিলাম। সেই কারণেই আমার উপরে আক্রমণ করা হয়েছে। আমার স্ত্রীর ছোট একটি মুদির দোকানেও ভাঙচুর চালানো হয়।’’ আরও অভিযোগ, সুদীপবাবুর দোকানে হামলা চালানোর পরে ওই এলাকার বাসিন্দা, আর এক বিজেপি সমর্থক সুমন দত্তের বাড়িতে চড়াও হয় দুষ্কৃতীর দল। তবে হামলার সময়ে সুমনবাবু বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর স্ত্রী মৌমিতা দত্তের অভিযোগ, ‘‘স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। দুষ্কৃতীরা রাতে হামলা করবে বলে শাসানি দিয়ে গিয়েছে। ওদের হাতে বোমা ও পিস্তল ছিল। থানায় খবর দিয়েছি।’’
চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সোনারপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবীর সরকার। তিনি বলেন, ‘‘ওই চিকিৎসকের বৈধ কাগজপত্র নেই। তাই হয়তো এলাকাবাসীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তবে ওই চিকিৎসক বিজেপি সমর্থক কি না, তা জানি না। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।’’ নরেন্দ্রপুর থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। তবে ওই ঘটনায় মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।