কর্মিসভার মিটিংয়ে কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায় (বাঁ দিকে)। নিজস্ব চিত্র।
ঘরের ওয়ার্ডে ঘরের বৌকেই প্রার্থী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই প্রচারের কাজে নেমে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর এই ভ্রাতৃবধূ। রবিবার কালীঘাটের জয়হিন্দ ভবনে ডাকা হয়েছিল ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের কর্মিসভা। সেখানেই শেষ বক্তা ছিলেন কাজরী। রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হলেও, বক্তৃতা করতে অনভ্যস্ত তিনি। তাই তাঁর স্বামী কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সবাই তো বক্তৃতা করলেন! এখন দেখা যাক আমার স্ত্রী কেমন বক্তৃতা করেন।’’ কার্তিকের মুখে এমন কথা শুনে হেসে ফেলেন উপস্থিত নেতাকর্মীরা। আনকোরা বক্তা কাজরী বলেছেন, ‘‘প্রার্থী হিসেবে ঘোষণার পর আমি দিদির কাছে গিয়েছিলাম। দিদি আমাকে বললেন আগামিকাল থেকেই প্রচারে নেমে পড়। আমার থেকেও তুমি যদি বেশি ভোটে জিততে পার। তাহলে সেটাই হবে আমার পুরষ্কার। তাই তাঁর কথা মতো প্রচারে নেমেছি।’’
প্রসঙ্গত, ভবানীপুর বিধানসভার উপনির্বাচনে ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভোট পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন তৃণমূলের জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি তথা কাজরীর স্বামী কার্তিক। আর এই ওয়ার্ড থেকে মুখ্যমন্ত্রী ব্যবধান পেয়েছেন ৫৮০০-র কিছু বেশি ভোটের। সেই ব্যবধান ছাপিয়ে আরও বেশি ভোটে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ভ্রাতৃবধূকে জয়ী হতে বলেছেন। কর্মীদের কাজরী আরও জানান, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায় তাঁকে ফোন করে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। কার্তিক ও কাজরী উভয়েই হাতে হাত মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া লক্ষ্য পূরণের আবেদন জানিয়েছেন কর্মীদের উদ্দেশে।