প্রতীকী ছবি।
প্রথমে ব্যবসার সূত্রে ঘরে ঢোকে। বেশ কিছু সময় ওই বন্ধ ঘরে এক মহিলার সঙ্গে কাটিয়ে তাঁকে ‘খুন’ করে জামাকাপড় পাল্টে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় আততায়ী। শনিবার রাতে বড়তলা থানা এলাকায় এক মহিলার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারেরঘটনার প্রাথমিক তদন্তে এমনই তথ্য উঠে এসেছে বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা। তবে রবিবার রাত পর্যন্ত ওই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। লুটের উদ্দেশ্যে এই খুন, না কি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা স্পষ্ট নয় তদন্তকারীদের কাছেও। আততায়ীকে মহিলার পূর্ব পরিচিত বলে প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হলেও তা খতিয়ে দেখছে লালবাজার।
শনিবার রাতে বড়তলা থানা এলাকায় দুর্গাচরণ মিত্র লেনের ঘর থেকে উদ্ধার হয় এক মহিলার রক্তাক্ত দেহ। পুলিশ সূত্রের খবর, মহিলার গলায় ধারালো কিছু দিয়ে কোপানোর চিহ্ন ছিল। আঘাত ছিল মাথার পিছনেও। দীর্ঘক্ষণ ঘরেরদরজা বন্ধ ছিল। মহিলার ছেলে টিউশন থেকে ফিরে দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকে মাকে বিছানার উপর পড়ে থাকতে দেখে। ছেলের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে ঘরের আলমারি থেকে শুরু করে জিনিসপত্র লন্ডভন্ড অবস্থায় দেখতে পান। গোটা ঘরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল রক্তের দাগ।
এর পরেই বড়তলা থানায় খবর যায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ এবং লালবাজারের হোমিসাইড শাখা। ‘স্নিফার ডগ’ এনেও শুরু হয় তল্লাশি। দেহ উদ্ধার করে দ্রুত কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রবিবার দেহের ময়না-তদন্ত হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে মহিলাকে খুন করা হয়েছে বলেই নিশ্চিত লালবাজারের গোয়েন্দারা। লন্ডভন্ড ঘরের জিনিস দেখে তদন্তকারীদের অনুমান, ওই ঘরে দীর্ঘক্ষণ কোনও জিনিস খোঁজা হয়েছিল। এখানেই তদন্তকারীদের সন্দেহ, আততায়ী মহিলার পূর্ব পরিচিত। এমনকি নিয়মিত তার এখানে যাতায়াত ছিল বলেও মনে করছেন তদন্তকারীরা।
স্থানীয় সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় ওই মহিলার ঘরে এক জন ব্যবসার কাজে এসেছিল। কিন্তু সে কখন বেরিয়ে গিয়েছিল, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না প্রতিবেশীরা। তার খোঁজ চলছে।