করোনা আবহে পশ্চিমবঙ্গে ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে কলকাতায় বৈঠক শুরু করে দিলেন উপনির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। ফাইল চিত্র
করোনা আবহে পশ্চিমবঙ্গে ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে কলকাতায় বৈঠক শুরু করে দিলেন উপনির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। বৃহস্পতিবার দিনভর বৈঠকে রাজ্যের পুলিশ এবং প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনায় বসবেন নির্বাচন কমিশনের কর্তারা। পাশাপাশি, প্রধান রাজনৈতিক দলগুলিকেও সময় দেওয়া হয়েছে। ফলে বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিরাও ভোট পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলার সুযোগ পাবেন জৈনের সঙ্গে।
প্রসঙ্গত, বিহারের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক-সহ কয়েকজন আধিকারিকও জৈনের বৈঠকে রয়েছেন। দেশে করোনা আবহে প্রথম ভোট হয়েছে বিহারে। ফলে বৈঠকে তাঁদের উপস্থিতিও গুরুত্বপূর্ণ। তবে তাঁরা বৈঠকে ‘ভার্চুয়ালি’ যোগ দিয়েছেন বলেই সূত্রের খবর।
বুধবার রাতে কমিশন কর্তা শহরে পৌঁছেছেন। প্রথমে ঠিক ছিল তিনি ৩ দিন থাকবেন রাজ্যে। কিন্তু তাঁর সফরসূচি বেড়ে ৫ দিন হয়েছে বলে সূত্রের খবর। কমিশন কর্তা জৈন দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গে সমান সময় দিয়ে সফর সূচি সাজিয়েছেন। মালদহ এবং শিলিগুড়িতেও তাঁর প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা। প্রসঙ্গত, বিজেপি ইতিমধ্যেই দিল্লির নির্বাচন কমিশনে গিয়ে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীরঅধীনে ভোট করার আর্জি জানিয়েছে। একইসঙ্গে তারা দাবি জানিয়েছে রাজ্যে অবিলম্বে ‘আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি’ চালু করার। জৈন তাঁর সফরে সেই বিষয়গুলিও খতিয়ে দেখবেন বলে সূত্রের খবর।
সম্প্রতি রাজ্যে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার গাড়িতে হামলা হয়েছে। বিষয়টিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতর গুরুত্ব দিয়ে দেখেছে। এ ছাড়াও উলেন রাই-সহ বহু বিজেপি কর্মীর মৃত্যু নিয়ে সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির। এই আবহে বিরোধী বিজেপি প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নালিশ করেছে কমিশনে। ফলে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি গুরুত্ব পেতে পারে এই বৈঠকে। প্রশ্নের মুখে পড়তে পারেন রাজ্যের পুলিশ ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
কমিশন সূত্রে খবর, মধ্য কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে ১৪টি জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং পুলিশ কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করবেন জৈন। দ্বিতীয়ার্ধে রাজ্যের মুখ্য সচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে কথা বলতে পারেন পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিশন কর্তা। শেষার্ধে প্রধান রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করবেন তিনি।
কমিশন সূত্রের খবর, পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তার সঙ্গে বৈঠকে সুদীপ জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবেন, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কী রকম। এ পর্যন্ত কতজন দাগি অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাদের ধরা যায়নি, তাদের বিরুদ্ধেই বা কী পদক্ষেপ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিধায়ক পদ ছেড়ে প্রথম সভায় শুভেন্দু, কলকাতার বাড়ির সামনে দিদির পোস্টার
আরও পড়ুন:‘লাভ জেহাদ’- এর অভিযোগে ফের গ্রেফতারি যোগী রাজ্যে