ভুয়ো ওয়েবসাইট খুলে ধৃত। নিজস্ব চিত্র
কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ মিশনের জন্য তৈরি ওয়েবসাইট জাল করে চলছিল প্রতারণা। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের শ্যামনগরে বসে চলছিল ওই প্রতারণা চক্র। সোমবার গভীর রাতে চক্রের অন্যতম পাণ্ডাকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল।
দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ ডিজিটাল সাক্ষরতা অভিযানের ওয়েবসাইট নকল করে প্রতারণা চলছে, এ নিয়ে একের পর অভিযোগ পাচ্ছিল কেন্ত্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে প্রথম চিহ্নিত করা হয় ওই জাল ওয়েবসাইটটি। এর পরই মন্ত্রকের পক্ষে ভিজিলান্স অফিসার হরিসেবক শর্মা দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেলে অভিযোগ দায়ের করেন।
তদন্তে নেমে দিল্লি পুলিশ জানতে পারে, উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে ওই জাল ওয়েবসাইট। জাল সাইট ব্যবহার করে গ্রামের মানুষকে ডিজিটাল সাক্ষরতা দেওয়া এবং সরকারি সুযোগসুবিধা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে। বিনিময়ে নাম নথিভুক্ত করার জন্য নেওয়া হচ্ছে মোটা টাকা।
আরও পড়ুন: রাতের শহরে হেলমেটহীন বাইক চালককে থামাতে গিয়ে ফের আক্রান্ত পুলিশ
জাল ওয়েবসাইটের আইপি এবং ডোমেনের সূত্র ধরে মঙ্গলবার গভীর রাতে শ্যামনগরে অভিযান চালায় দিল্লি পুলিশের বিশেষ দল। পাকড়াও করা হয় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় নামে ৩৪ বছরের এক ব্যাক্তিকে। স্পেশ্যাল সেলের ইনস্পেক্টর ভানুপ্রতাপ সিংহের নেতৃত্বে তদন্তকারী দলের দাবি, এই প্রতারণার পিছনে রয়েছে বড় চক্র। প্রসেনজিৎ অন্যতম পাণ্ডা। তদন্তকারীদের দাবি, উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা প্রসেনজিতের। কিন্তু সফ্টওয়্যার ডেভেলপিংয়ের ক্ষেত্রে তার ভাল জ্ঞান আছে। তাকে বুধবার ব্যারাকপুর আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক ট্রানজিট রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। বুধবারই তাকে নিয়ে দিল্লি রওনা হবে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, প্রসেনজিৎকে জেরা করে চক্রের বাকিদের হদিশ মিলবে।
আরও পড়ুন: রাতের কলকাতায় ইভটিজিংয়ের শিকার মহিলারা, দু’টি ঘটনায় গ্রেফতার তিন