সরোবরে মাছ কেন মরছে, শুরু হল তদন্ত

রবীন্দ্র সরোবরের জলে এত পরিমাণ শ্যাওলা নেই, যা থেকে জলে অক্সিজেন কমে মাছের মৃত্যু হতে পারে। মাঝেমধ্যেই সরোবরের জলে মরা মাছ ভেসে ওঠার কারণ পরীক্ষা করে দেখতে গিয়ে শনিবার এমনটাই জানালেন রাজ্য পশু এবং মৎস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও গবেষকেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০১৬ ০৫:৫৬
Share:

রবীন্দ্র সরোবরের জলে এত পরিমাণ শ্যাওলা নেই, যা থেকে জলে অক্সিজেন কমে মাছের মৃত্যু হতে পারে। মাঝেমধ্যেই সরোবরের জলে মরা মাছ ভেসে ওঠার কারণ পরীক্ষা করে দেখতে গিয়ে শনিবার এমনটাই জানালেন রাজ্য পশু এবং মৎস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও গবেষকেরা।

Advertisement

এ দিনও তাঁরা দেখেন, সরোবরে ভাসছে কয়েকটি মরা মাছ। জানা গিয়েছে, মৃত মাছগুলি মূলত মৃগেল ও বিগ হেড কার্প। ঘটনাস্থলেই তাঁরা কাটাছেঁড়া করে মাছগুলি পরীক্ষা করে দেখেন। মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান টি জে আব্রাহাম বলেন, ‘‘প্রাথমিক পরীক্ষার পরে বলা যায় সরোবরের জলে অক্সিজেনের অভাব রয়েছে। ফলে মাছ মারা যাচ্ছে।’’ তবে আব্রাহাম জানান, শনিবার পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, শ্যাওলা থাকলেও তা এত নয়, যা থেকে অক্সিজেন কমে মাছ মরতে পারে। সব খতিয়ে দেখেই অক্সিজেন কমার কারণ বলা সম্ভব। কিছু দিন পরে কলকাতা উন্নয়ন পর্ষদ (কেআইটি) কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এ দিন ঘটনাস্থলে ছিলেন কেআইটি-র আধিকারিকেরাও। কেআইটি কর্তৃপক্ষেরও দাবি, মাছের মড়ক লাগার পর থেকে রোজই শ্যাওলা পরিষ্কার করা হচ্ছে। এখন তা কম থাকারই কথা।

Advertisement

এ দিন জীবিত মাছ পরীক্ষা করে দেখা হয় তাদের শরীরে জীবাণু আছে কি না। জীবিত মাছের মধ্যে রয়েছে প্যাঙাস ও বড় রুই। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক গদাধর দাস বলেন, ‘‘অক্সিজেনের অভাব তো রয়েছেই। মাছেদের গায়ে এক রকম পোকাও (এরগুলাস) মিলেছে। সরোবরে জৈব পদার্থ বেশি থাকায় এই পোকা হয়। যা মাছের শরীরে দ্রুত ছড়ালে তাদের বাঁচার ক্ষেত্রে ক্ষতিকর।’’

রবীন্দ্র সরোবরের পূর্ব প্রান্তে ঢাকুরিয়ার দিকে, যেখানে প্রচুর মরা মাছ মিলেছিল, এ দিন সেখানকার ও ঝুলন্ত সেতুর সামনে থেকে জলের নমুনা ও মাছ সংগ্রহ করা হয়। রবীন্দ্র সরোবরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেআইটি-র আধিকারিক সুধীন নন্দী বলেন, ‘‘মৎস্য দফতর, রাজ্য পরিবেশ দফতরের রিপোর্ট মিলেছে। মাছের মৃত্যু রোধে যে নিয়ম মানতে বলা হয়েছে তা করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্ট এ ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement