Electrocution

Electrocution Death: এসি সারাতে উঠে হাইটেনশন লাইনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু

সারদাপল্লির একটি দোতলা বাড়িতে কাজ করতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে মাথার উপরেই বিদ্যুতের হাইটেনশন লাইন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০২২ ০৬:১৬
Share:

মর্মান্তিক: মাথার উপর দিয়ে যাওয়া এই হাইটেনশন লাইনে লেগেই মৃত্যু হয় এসি সারাতে আসা এক মিস্ত্রির। শুক্রবার, কসবায়। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

শহরে ফের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু। শুক্রবার কসবা থানা এলাকার টেগোর পার্কের সারদাপল্লিতে এসি সারাতে গিয়ে বিদ্যুতের হাইটেনশন লাইনে তড়িদাহত হন এক যুবক। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম উৎপল পাত্র (২৪)। বাড়ি হাওড়ার দক্ষিণ রামচন্দ্রপুরে। এ দিন সারদাপল্লির একটি দোতলা বাড়িতে কাজ করতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে মাথার উপরেই বিদ্যুতের হাইটেনশন লাইন। তাতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে উপর থেকে নীচে পড়ে যান উৎপল। স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

Advertisement

এ দিন বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ ওই ঘটনায় হইচই পড়ে যায় এলাকায়। এমনকি, হাইটেনশন লাইনের একেবারে লাগোয়া ওই জায়গায় কী ভাবে বাড়ি তৈরির অনুমতি দেওয়া হল, সেই প্রশ্নও তোলেন অনেকে। ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, ওই বাড়ির দোতলার একটি ফ্ল্যাটে উৎপল এসি সারাতে গিয়েছিলেন। ফ্ল্যাটের বাইরের কার্নিসের উপরে এসি-র বাইরের ইউনিটটি বসানো ছিল। বাড়িটির উপর দিয়েই গিয়েছে হাইটেনশন লাইন। পুলিশ জানায়, ছাদের উপরে উঠে কাজ করার সময়ে সেই লাইনের খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন ওই যুবক। বিদ্যুতের আকর্ষণে তিনি তড়িদাহত হয়ে নীচে পড়ে যান।

ওই বাড়ির একতলায় একটি পিৎজ়ার দোকান রয়েছে। উৎপলের পড়ে যাওয়ার শব্দ পেয়ে সেখান থেকে লোকজন বেরিয়ে আসেন। ওই যুবকের ঝলসে যাওয়া চেহারা দেখে পথচলতি মানুষ ভয় পেয়ে যান। খবর পেয়ে কসবা থানার পুলিশ এবং সিইএসসি-র প্রতিনিধিরা সেখানে পৌঁছন। পরে সিইএসসি বাড়িটির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সেটি সম্পূর্ণ অন্ধকার। যে ফ্ল্যাটে ওই যুবক এসি সারাতে গিয়েছিলেন, সেটি তালাবন্ধ। লোকজন জানান, দুর্ঘটনার পরে ফ্ল্যাটের মালিক দরজায় তালা দিয়ে চলে গিয়েছেন।

Advertisement

এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ উৎপলের পরিজনেরা। তাঁরা এ নিয়ে বিশেষ কিছু বলতে চাননি। পরিবার সূত্রের খবর, দু’দিন আগে কসবার ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে এসি সারাইয়ের বিষয়ে কথাবার্তা বলে যান উৎপল। এ দিন উৎপলের সঙ্গে কাজ করতে গিয়েছিলেন তাঁর আত্মীয় সুশান্ত কাঁড়া। তিনি জানান, গোটা ঘটনাটি তাঁর চোখের সামনেই ঘটেছে। যা দেখার পরে তিনি মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সুশান্ত বলেন, ‘‘উৎপল আমার মাসতুতো ভাই। চোখের সামনে ওর মৃত্যু দেখলাম। আমি কথা বলার অবস্থায় নেই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement