যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অফ সায়েন্স সুবিনয় চক্রবর্তী। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অফ সায়েন্স সুবিনয় চক্রবর্তী পদত্যাগ করেছেন। রবিবার নিজের পদত্যাগপত্র ইমেল করে জমা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অমিতাভ দত্তের কাছে। সুবিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়েই ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু তাঁর এই সিদ্ধান্তের পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রমৃত্যুর তদন্ত নিয়ে নতুন জটিলতা তৈরি হল বলে মনে করা হচ্ছে।
ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার পরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। আট সদস্যের সেই কমিটির মাথায় ছিলেন সুবিনয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য অধ্যাপকেরাও এই তদন্ত কমিটিতে ছিলেন। তাঁরা নিজেদের মতো করে বিষয়টি খতিয়ে দেখছিলেন। ঘটনার পর সুবিনয় কমিটির অন্য সদস্যদের নিয়ে একাধিক বার হস্টেলে গিয়েছিলেন। সেখানকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এসেছেন। একাধিক বার বৈঠকও করেছেন। ডিন অফ সায়েন্স পদ থেকে সুবিনয়ের পদত্যাগের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই তদন্ত ধাক্কা খাবে কি না, তা অবশ্য সময়ই বলবে।
উল্লেখ্য, শনিবারই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য হিসাবে গণিতের অধ্যাপক বুদ্ধদেব সাউকে নিয়োগ করেছেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তার পর রবিবারই পদত্যাগ করলেন গণিতেরই আর এক অধ্যাপক। বিশ্ববিদ্যালয়ে কানাঘুষো, উপাচার্য হিসাবে বুদ্ধদেবের নিয়োগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদেরই একাংশ প্রশ্ন তুলেছে। সেই কারণেই কি ডিন অফ সায়েন্সের পদত্যাগ? সেই প্রশ্নও ঘুরছে যাদবপুরের আকাশে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, যে সময়ে হস্টেলে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছিল, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার অনুপস্থিত ছিলেন। ছিলেন না সহ-উপাচার্যও। তাই ওই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার দায়িত্ব সাময়িক ভাবে ছিল ডিন অফ সায়েন্সের উপর। তিনি পদত্যাগ করায় ছাত্রমৃত্যুর তদন্তে ব্যাঘাত ঘটতে পারে বলে মনে করছেন কেউ কেউ।