প্রতীকী চিত্র।
স্ত্রী এবং দুই প্রতিবন্ধী সন্তানের মৃত্যু হয়েছে কয়েক বছর আগে। তার পর থেকে একাই থাকতেন বৃদ্ধ। কাজকর্মও সব নিজে করতেন। সোমবার তাঁরই পচাগলা দেহ উদ্ধার হল বাড়ির শৌচাগার থেকে। মৃতের নাম মৃণালকান্তি ঘোষ (৬৬)। ঘটনাটি ঘটেছে বেহালা থানার নন্দন পার্ক এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বেলা সওয়া ১২টা নাগাদ তাদের কাছে খবর আসে, পাঁচ নম্বর নন্দন পার্কের বাসিন্দা মৃণালকান্তিবাবুকে বহু বার ডেকেও সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁর বাড়ির আশপাশ থেকে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে। খবর পেয়ে বেহালা থানার পুলিশ পৌঁছয়। ওই বৃদ্ধের বাড়ির একতলার দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। স্থানীয় লোকজনের সাহায্যে সেই দরজা ভাঙে তারা। পরে দোতলার ঘরের দরজা ভেঙে শৌচাগার থেকে উদ্ধার হয় মৃণালকান্তিবাবুর দেহ।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, দেহটি শৌচাগারে উপুড় হওয়া অবস্থায় পড়ে ছিল। তবে তাতে এতটাই পচন ধরে গিয়েছিল যে প্রাথমিক ভাবে শনাক্ত করা যায়নি। ওই বৃদ্ধের মাথা, বুক, গলা-সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্তের ছাপ লেগেছিল। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, দেহটি পচে যাওয়ায় সেখান থেকে রক্ত চুঁইয়ে মেঝেতে পড়েছে। তবে শরীরে বাইরে থেকে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। মৃত্যুর কারণ জানতে দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। তবে দু’-এক দিন আগেই ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা তদন্তকারীদের।
স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে পুলিশ জেনেছে, রেলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী ছিলেন মৃণালকান্তিবাবু। স্ত্রী ও দুই প্রতিবন্ধী সন্তানের মৃত্যুর পরে একাই থাকতেন। পাড়ার কারও সঙ্গেই খুব মেলামেশা ছিল না তাঁর। বাড়িতেও কোনও পরিচারিকা ছিলেন না। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বিশ্বকর্মা পুজোর দিন শেষ বারের মতো দেখা গিয়েছিল ওই বৃদ্ধকে। ওই দিন তিনি বাজার করে বাড়ি ফিরেছিলেন। তার পর থেকে কেউ তাঁকে দেখেননি। পুলিশ জানিয়েছে, দেহ উদ্ধারের পরে মৃণালকান্তিবাবুর বাড়ি তল্লাশি করে কিছু পাওয়া যায়নি।