প্রতীকী ছবি।
রাস্তার ধারের বিজ্ঞাপনী হোর্ডিংয়ের কাঠামো থেকে ঝুলছে মৃতদেহ! বুধবার সকালে এমনই দৃশ্য দেখা গিয়েছে খাস কলকাতার ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসে। দ্রুত সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই পুলিশ দেহটি নামিয়ে নিয়ে গেলেও
রাত পর্যন্ত স্পষ্ট হয়নি যে, এটি আত্মহত্যা, না কি খুনের ঘটনা? জানা যায়নি মৃতের নাম-পরিচয়ও।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে স্থানীয় লোকজনই প্রগতি ময়দান থানায় ফোন করে জানান যে, ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের ধারে নুনের ভেড়ি এলাকায় একটি মৃতদেহ ঝুলছে। ওই জায়গায় বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং লাগানোর লোহার কাঠামো পর পর রয়েছে। পুলিশ গিয়ে দেখে, তেমনই একটি কাঠামো থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে এক ব্যক্তির দেহ। তাঁর বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর। লোহার কাঠামোর সঙ্গে বাঁধা ছিল একটি সুতির ওড়না। সেটিই জড়ানো মৃতের গলার সঙ্গে। দ্রুত দেহটি নামানোর ব্যবস্থা করে পুলিশ। নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন, বহু ক্ষণ আগেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ওই হাসপাতালেই আজ, বৃহস্পতিবার মৃতদেহের ময়না-তদন্ত হওয়ার কথা।
পুলিশের দাবি, ময়না-তদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই বোঝা সম্ভব হবে, ওই ব্যক্তি আত্মঘাতী হয়েছেন, না কি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে। তবে ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি। আপাতদৃষ্টিতে মৃতদেহে কোনও আঘাতের চিহ্নও পাওয়া যায়নি। আশপাশের কয়েকটি এলাকায় ছবি দেখিয়ে মৃতের পরিচয় জানার চেষ্টা করেছে পুলিশ। তবে বুধবার রাত পর্যন্ত ওই চেষ্টায় ফল মেলেনি।
পুলিশকে ভাবাচ্ছে একটি বিষয়। তা হল, এটা যদি আত্মহত্যার ঘটনাই হয়ে থাকে, তবে অত উঁচুতে ওই ব্যক্তি উঠলেন কী ভাবে? এ ভাবে আত্মহত্যার নজিরও বড় একটা নেই। পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় সন্ধ্যার পরে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।