—ফাইল চিত্র।
আজ, বুধবার নোয়াপাড়া-দক্ষিণেশ্বর মেট্রোপথে প্রথম বার পরীক্ষামূলক ভাবে ট্রেন ছুটবে। প্রকল্প ঘোষণার প্রায় ন’বছর পরে চার কিলোমিটার পথে পরিষেবা শুরু করার প্রায় শেষ পর্বে কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার দুপুরে সিগন্যাল, থার্ড রেলের বিদ্যুৎ সংযোগ-সহ যাবতীয় প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন মেট্রোর আধিকারিকেরা। একটি ব্যাটারিচালিত বিশেষ ইঞ্জিন এ দিন নোয়াপাড়া থেকে বরাহনগর হয়ে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত গিয়ে পাশের লাইন দিয়ে ফিরে আসে।
মহড়া দৌড়ের ফলাফল দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। সে ক্ষেত্রে মহড়া আরও কয়েক দিন চালানো হবে, নাকি কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটির কাছে বাণিজ্যিক পরিষেবা চালু করার জন্য ছাড়পত্র চাওয়া হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেবেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। তবে উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোর নোয়াপাড়া থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত চার কিলোমিটার পথের সম্প্রসারণে বেশি পরীক্ষার প্রয়োজন হবে না বলেই মত কর্তৃপক্ষের।
এই মুহূর্তে বরাহনগর এবং দক্ষিণেশ্বর মেট্রো স্টেশনের শেষ পর্বের সাজসজ্জা এবং প্ল্যাটফর্মে ঢোকা-বেরোনোর পথে অটোমেটিক ফেয়ার কালেকশন গেট (এ এফ সি) বসানো হচ্ছে। দক্ষিণেশ্বর স্টেশনকে সাজানো হয়েছে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের আদলে। ইতিমধ্যেই ওই দুই স্টেশনে মেট্রোর কর্মীদের বদলি করা হয়েছে। সব ঠিক থাকলে দ্রুত পরিষেবা শুরু হয়ে যাবে বলে আশাবাদী মেট্রোর আধিকারিকেরা।
বি টি রোড এবং ডানলপ এলাকার বিপুল সংখ্যক যাত্রীর কথা ভেবে বরাহনগর মেট্রো স্টেশনটিকে প্রশস্ত করা হয়েছে। তবে ভবিষ্যতের ব্যারাকপুরগামী মেট্রোর জায়গার কথা মাথায় রেখে স্টেশনটি বি টি রোড থেকে প্রায় তিনশো মিটার দূরে হয়েছে। রেলপথ এবং রাস্তার উপর দিয়ে মেট্রোপথ নির্মাণ হওয়ায় বরাহনগর স্টেশনের উচ্চতা অন্যান্য স্টেশনের তুলনায় কিছুটা বেশি। মাটির উপরে অন্য মেট্রো স্টেশনের তুলনায় ২০ ফুট বেশি উচ্চতায় ওই স্টেশন।