প্রায় শুনশান দক্ষিণেশ্বর মন্দির চত্বর। —নিজস্ব চিত্র।
প্রতি বছরের চেনা ছবিটা আচমকাই বদলে গিয়েছিল গত বছর। এ বছর সামান্য পরিবর্তন হলেও মোটের উপরে সেটা একই থাকল!
স্থান: দক্ষিণেশ্বর মন্দির। উপলক্ষ: বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে হালখাতা পুজো। প্রতি বছর এই দিনটিতে পুজো দেওয়ার জন্য ভোর থেকে মন্দিরের বাইরে ভিড় করেন অসংখ্য মানুষ। সারা দিন মন্দির চত্বরে তিলধারণের জায়গা থাকে না। গত বছর লকডাউনের কারণে মন্দির বন্ধ থাকায় কেউ আসেননি। কিন্তু এ বছর মন্দির খোলা থাকলেও পুজো দিতে আসা লোকজনের সংখ্যা ছিল হাতে গোনা। প্রতি বছর এ দিন কয়েক লক্ষ পুণ্যার্থীর ভিড় হয় মন্দিরে। চলে নতুন খাতা পুজো। দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরের অছি ও সম্পাদক কুশল চৌধুরী বলেন, ‘‘প্রতি বার যত ভক্ত আসেন, এ বার তার এক-চতুর্থাংশ এসেছেন। গরম, করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি, ভোট— সব মিলিয়ে হয়তো লোক কম এসেছেন।’’
এ দিন ভোর ৫টায় খুলে গিয়েছিল মন্দির। তবে সকালে বেশির ভাগ সময়ে মন্দির চত্বর ফাঁকাই ছিল। তেমন ভাবে পুজো দেওয়ার লাইন চোখে পড়েনি। অন্য বারের মতো মন্দির চত্বর ছাড়িয়ে বালি সেতু পেরিয়ে যায়নি পুজো দেওয়ার লাইন। তবে বিকেলে তুলনায় বেশি পুণ্যার্থী এসেছিলেন। মন্দিরেও করোনা-বিধি মেনে চলেছে নতুন খাতা পুজো।
কোভিড-বিধি মেনে এখন মন্দিরের বাইরের চত্বরে ডালা আর্কেডের ৫৮টি দোকানের মধ্যে সব ক’টি প্রতিদিন খোলা থাকছে না। এ দিন বিজোড় সংখ্যার দোকানগুলি খোলা ছিল। তবে সেই ২৯টি পেঁড়া বিক্রির দোকানেও ক্রেতা ছিলেন অনেক কম। দোকানিরা জানাচ্ছেন, অন্যান্য বছর তাঁদের ৪০-৫০ কেজি করে পেঁড়া তৈরি হলেও এ বার ১৫-২০ কেজি তৈরি করা হয়েছে। তাতেও বিক্রি নেই বললেই চলে। এ দিনও স্যানিটাইজ়েশন টানেল পেরিয়ে, শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষার পরে তবেই মন্দির চত্বরে ঢুকতে পেরেছেন পুণ্যার্থী ও দর্শনার্থীরা।