ফাইল চিত্র।
আমপানের পরে রাস্তার যে অংশে গাছ পড়ে ফাঁকা হয়ে গিয়েছে, সেই অংশ আগে সবুজ বসিয়ে ভরাট করতে হবে। ফাঁকা জায়গা যাতে দখল না হয়ে যায়, তা নিশ্চিত করতেই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে কোথায় কোথায় গাছ পড়ে ফাঁকা হয়ে গিয়েছে, তার তালিকা করে গাছ বসাবে কলকাতা পুরসভা।
চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার থেকে রাজ্যে শুরু হয়েছে বনসৃজন সপ্তাহ। পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য দেবাশিস কুমার বলেন, “চলতি বছর বনসৃজনের মূল লক্ষ্যই হল ঝড়ে পড়ে যাওয়া গাছের ফলে রাস্তার ফাঁকা অংশে গাছ পোঁতা। ওই সব জায়গা যাতে দখল না হয় তাই এমন সিদ্ধান্ত। পরবর্তী পর্যায়ে অন্য জায়গায় নিয়ম মেনে গাছ পোঁতা হবে।” শহরের সব ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটরকেও পুর কর্তৃপক্ষ এমনই নির্দেশ দিয়েছেন।
পুরসভার উদ্যান দফতর সূত্রের খবর, এই পরিকল্পনা রূপায়ণে প্রাথমিক ভাবে যে এলাকাগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে, তা হল বেলেঘাটা মেন রোড, উত্তরের পাইকপাড়ার রাজা মণীন্দ্র রোড, হাতিবাগান, মানিকতলা, দক্ষিণের আশুতোষ মুখার্জি রোড, রাসবিহারী অ্যাভিনিউ, গড়িয়াহাট রোড-সহ একাধিক রাস্তা।
দফতরের এক আধিকারিক জানান, আমপানের সময়ে শহরে প্রায় ১৫,০০০ গাছ পড়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন পার্কের ভিতরের গাছও কিছু আছে। বিভিন্ন বরো থেকে অভিযোগ জানানো হচ্ছে, গাছ পড়ে যে অংশ ফাঁকা হয়ে গিয়েছে সেই সব জায়গা অনেকেই দখল করে নিচ্ছে।
পুর কর্তৃপক্ষের ঘোষণা মতো ঝড়ে পড়ে যাওয়া কয়েকটি গাছ সেই জায়গাতেই বিশেষ পদ্ধতিতে বসানো হয়েছে। তবে বেশির ভাগ জায়গায় চারা রোপণ করা হবে। দেবাশিসবাবু জানান, এই উপলক্ষে পুরসভায় ইতিমধ্যেই ৫০,০০০ চারা এসে গিয়েছে। রাজ্য সরকারের নির্দেশ মতোই নিম, ছাতিম, রঙ্গন জাতীয় গাছ বসবে।
পুরসভার এক নম্বর বরোর কোঅর্ডিনেটর তরুণ সাহা বলেন, “এই বরোর বিভিন্ন রাস্তায় ফাঁকা অংশে গাছ বসানো শুরু হয়ে গিয়েছে।” সাত নম্বর বরোর কোঅর্ডিনেটর জীবন সাহা বলেন, “কোনও ভাবেই রাস্তা ধারের সবুজের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা দখল হতে দেওয়া যাবে না।“