—প্রতীকী চিত্র।
পুজো এগিয়ে আসায় প্রায় মাসখানেক ধরেই যাত্রী বাড়ছিল মেট্রোয়। এ বার মহালয়া পেরোতেই যেন স্লগ ওভারের ব্যাটিং শুরু হয়েছে উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোয়। শনি এবং রবি ছুটির দিন হওয়া সত্ত্বেও দু’দিনই যাত্রীদের ভিড় উপচে পড়েছে মেট্রোয়। শনিবার মেট্রোয় যাত্রী সংখ্যা ছিল প্রায় সাত লক্ষ ছুঁইছুঁই। অনুকূল আবহাওয়া ছাড়াও শেষ সময়ের পুজোর বাজারের চূড়ান্ত ব্যস্ততাকেই ভিড়ের অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন মেট্রোর আধিকারিকেরা। তাঁরা জানান, দমদম, শোভাবাজার সুতানুটি, এসপ্লানেড এবং রবীন্দ্র সদন স্টেশনে উল্লেখযোগ্য হারে যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে।
রবিবার অফিসযাত্রীদের ভিড় না থাকলেও মেট্রোয় ভিড়ের কমতি ছিল না। বহু মানুষ এ দিন শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা করতে বাইরে বেরোনোয় মেট্রো স্টেশনে ভিড় কার্যত আছড়ে পড়ে। আজ, সোমবার থেকে আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে মেট্রোয় যাত্রী সংখ্যা আরও উপরের দিকে চড়বে বলে মনে করছেন মেট্রোর আধিকারিকেরা। এর মধ্যে বুধ এবং বৃহস্পতিবার থেকে মেট্রোয় নিত্যযাত্রী ও কেনাকাটা করতে বেরোনো যাত্রীদের পাশাপাশি আগেভাগে যাঁরা প্রতিমা, মণ্ডপ দেখে নিতে চান, তাঁদের ভিড়ও বাড়বে। পঞ্চমী এবং ষষ্ঠীর দিন পরিষেবার সময় বাড়িয়েছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এ বারই প্রথম সকাল ৬টা ৫০ মিনিট থেকে প্রায় রাত পৌনে ১২টা পর্যন্ত সচল থাকবে মেট্রো।
ভিড়ের কথা মাথায় রেখেই স্টেশনগুলিতে রেলরক্ষীদের তৎপর থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়াও, প্ল্যাটফর্মে যাত্রীদের ওঠানামার সময়ে যাতে কোনও বিপত্তি না ঘটে, ট্রেন অহেতুক বেশি সময় আটকে রাখতে না হয়, সে দিকেও লক্ষ রাখা হবে। পুজোর দিনগুলিতে মেট্রোয় সর্বাধিক ১৮০টি কাউন্টার খোলা রাখার পাশাপাশি যাত্রীদের বেশি করে স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। এ প্রসঙ্গে মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘‘স্মার্ট কার্ডের পর্যাপ্ত জোগান রয়েছে। যাত্রীরা ওই কার্ড কিনলে ভাড়ায় ১০ শতাংশ ছাড় পাবেন। তা ছাড়াও, বার বার তাঁদের টোকেন কেনার জন্য লাইনে দাঁড়াতে হবে না। একই কার্ডে উত্তর-দক্ষিণ এবং ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় সফর করে পছন্দের গন্তব্যে পৌঁছতে পারবেন তাঁরা।’’