প্রতীকী ছবি।
কোটি টাকা খরচ করে ক্রেন কেনার প্রস্তাব অবশেষে আটকে গেল কলকাতা পুরসভায়। পরিবর্তে বিকল্প হিসেবে অন্য পদ্ধতি অবলম্বনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ। মূলত গাছ সরানো থেকে শুরু করে অন্য কোনও পরিষেবা সংক্রান্ত কাজে ক্রেনের ব্যবহার জরুরি। বিশেষত, ঝড়ে পড়ে যাওয়া গাছ তুলে সরাতে ক্রেনের প্রয়োজন সর্বাধিক। সেই কারণেই আমপানের পরে মূলত ঝড়ে পড়ে যাওয়া গাছ তুলে তা নতুন করে রোপণ করতে ক্রেন কেনার প্রস্তাব উঠেছিল।
পুর কর্তৃপক্ষ জানান, আমপানের পরে শহরের বেশির ভাগ জায়গা থেকে গাছের গুঁড়ি সরালেও অনেক জায়গায় তা বিক্ষিপ্ত ভাবে পড়ে রয়েছে। তা ছাড়াও যে সমস্ত গাছ নতুন করে রোপণ করা হচ্ছে সেগুলিও তুলে আবার মাটিতে বসাতেও ক্রেনের প্রয়োজন। বাড়ি অথবা কোনও নির্মাণ ভেঙে পড়লেও ক্রেনের প্রয়োজন হয়। যদিও পুরসভার বর্জ্য অপসারণ দফতরের পে-লোডার এবং ডাম্পার রয়েছে। উদ্যান দফতর কোনও কাজ করতে গেলে ওই দফতর ছাড়াও বহিরাগত সংস্থা থেকেও সামগ্রী ভাড়া করে নেয়। তবে পুরসভার নিজস্ব ক্রেন নেই।
পুরসভার এক আধিকারিক জানান, লকডাউনের আগেই পুর কর্তৃপক্ষ অন্তত একটি ক্রেন কেনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আমপানের পরে মূলত শহরে প্রচুর পরিমাণে গাছ পড়ে যাওয়ার ফলে ক্রেন কেনার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি টের পাওয়া যায়। পুর কর্তৃপক্ষই ওই প্রস্তাব দিয়েছিলেন। বিশেষ করে গাছের গুঁড়ি সরানো ছাড়া মোটা গাছের গুঁড়ি তুলে তা পুনরায় রোপণ করার সিদ্ধান্ত হয়। শুধু তা-ই নয়, প্রতিমা বিসর্জনেও ক্রেনের প্রয়োজন হয়। আর্থিক সঙ্কটের কারণে তাই কেনার বদলে ক্রেন ভাড়া করেই কাজ সারতে হবে বলে জানাচ্ছেন আধিকারিকেরা।
পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য তথা উদ্যান দফতরের প্রাক্তন মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার বলেন, ‘‘উদ্যান দফতর ক্রেন কেনার প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু লকডাউন পরবর্তী সময়ে রাজস্ব ঘাটতি হওয়ায় এই মুহূর্তে প্রায় কোটি টাকা খরচ করে পুরসভার পক্ষে ক্রেন কেনা সম্ভব নয়। তাই ক্রেন আপাতত ভাড়া করেই কাজ সারতে হবে।’’ আমপানে এখনও অনেক জায়গায় পড়ে থাকা গাছের গুঁড়ি সরানোর ক্ষেত্রে পরিকাঠামোজনিত সমস্যা হচ্ছে বলেও উদ্যান দফতরের দাবি।