মেডিক্যালের মূল ভবনে ফাটল, উদ্বেগ

সূত্রের খবর, এমসিএইচ ভবনের একতলা ও দোতলার মেডিসিন বিভাগ, তেতলায় হেমাটোলজি বিভাগ ও চারতলাতেও চিড় দেখা দিয়েছে। মেডিসিন বিভাগে ভর্তি থাকা রোগীর পরিজনদের একাংশের দাবি, এক ও দোতলার শৌচাগারেও ফাটল ধরেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:৫৫
Share:

বিপত্তি: এমসিএইচ ভবনে সেই ফাটল। মঙ্গলবার। ছবি: রণজিৎ নন্দী

ফের ফাটল দেখা দিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ঐতিহ্যবাহী ‘মেন বিল্ডিং’-এ। মঙ্গলবার সকালে কলেজ স্ট্রিট লাগোয়া ওই ভবনের বাঁ দিকে ছাদ থেকে একতলা পর্যন্ত ফাটল দেখা দেয়।

Advertisement

সূত্রের খবর, এমসিএইচ ভবনের একতলা ও দোতলার মেডিসিন বিভাগ, তেতলায় হেমাটোলজি বিভাগ ও চারতলাতেও চিড় দেখা দিয়েছে। মেডিসিন বিভাগে ভর্তি থাকা রোগীর পরিজনদের একাংশের দাবি, এক ও দোতলার শৌচাগারেও ফাটল ধরেছে। তার জেরে এ দিন তাঁদের একাংশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের আশ্বাস দেন, চিন্তার কোনও কারণ নেই। ফাটলটি পুরনো। খুব তাড়াতাড়ি তার মেরামতিও হবে।

হাসপাতালের কর্মীদের একাংশ এ দিন জানান, মূল ভবন এবং ছাত্রাবাস ও অতিথিশালার মাঝখানে ক্যানসার চিকিৎসার জন্য দশতলা একটি

Advertisement

বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে। ওই বাড়ি তৈরির জন্য কমবেশি ৪০ ফুট গর্ত খোঁড়া হয়েছে। অভিযোগ, যে পদ্ধতিতে এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে দশতলা ওই বাড়ি তৈরি করা দরকার, সেই পদ্ধতি মানা হয়নি। বিশেষ এক ধরনের কম্পন যন্ত্রের সাহায্যে ওই গর্ত খোঁড়া হয়। তার ফলে গত এপ্রিল মাসেই ওই ফাটল দেখা গিয়েছিল বলে কর্মীরা জানান। সেই সময়ে লোহার বিম বসিয়ে মেন বিল্ডিংয়ের ভিত সংরক্ষণ করাও হয়েছিল। স্বাস্থ্য দফতরও তখন দশতলা ওই বাড়ি তৈরির কাজ

বন্ধ রাখে।

সূত্রের খবর, গত ১৫ অক্টোবর ফের মেন বিল্ডিংয়ে চিড় ধরে। তবে সেই চিড় ধরেছিল মেন বিল্ডিংয়ের গায়ের প্লাস্টারে। দিন চারেকের মধ্যে সেই চিড় বুজিয়ে দেওয়া হয়। হাসপাতালের কর্মীদের

একাংশ জানান, পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারেরা সোমবার মেন বিল্ডিং পরিদর্শন করেন এবং সেখান থেকে রোগীদের সরানো যায় কি না তা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেন।

মেন বিল্ডিংয়ের ডান দিকে আইসিইউ ও কার্ডিয়োলজি বিভাগ। সেখানে অবশ্য ফাটল দেখা দেয়নি। পূর্ত দফতরের এক কর্তা জানান, কিছু দিন আগেই মেন বিল্ডিংয়ের মেরামতি হয়েছে। প্রাচীন ওই বাড়িটির মাঝেমধ্যেই মেরামতির প্রয়োজন হয়ে পড়ে। এ বারও তা সারানো হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement