Naushad Siddiqui

বিধায়ক নওশাদ এবং আইএসএফ কর্মীদের নিগ্রহের নিন্দায় সিপিএম, কর্মসূচির ঘোষণা সেলিমের

সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের অভিযোগ, ‘‘জমি দখল করার জন্য, জলাশয় ভরিয়ে প্রমোটিং করার জন্য সিন্ডিকেটের দখলদারির উদ্দেশে এই হামলা চালানো হচ্ছে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৩ ২২:৫৯
Share:

আইএসএফের পাশে দাঁড়িয়ে শনিবারের ঘটনার জন্য তৃণমূলকে নিশানা করল সিপিএম। —ফাইল চিত্র।

ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি-সহ ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-এর নেতাকর্মীদের উপর পুলিশি নিগ্রহের ঘটনার নিন্দায় সরব হল সিপিএম। শনিবার এ নিয়ে বিবৃতি দিলেন রাজ্য সিপিএমের সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। জানালেন এর প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি করবেন তাঁরা।

Advertisement

শনিবার কলকাতায় দলীয় সভা ছিল আইএসএফের। নওশাদদের অভিযোগ, সেখানে যাওয়ার পথে ভাঙড়ে তাঁদের কর্মীদের মারধর করেন তৃণমূল কর্মীরা। তৃণমূল নেতাদের উপস্থিতিতেই এ সব ঘটেছে বলে দাবি করেছেন ভাঙড়ের বিধায়ক। যদিও তৃণমূল সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেয়। পরে লেদার কমপ্লেক্স থানা থেকে পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা। কিন্তু এর পর কলকাতার ধর্মতলায় বাঁধে ধুন্ধুমার। রানি রাসমণি রোডে সভায় পুলিশ বনাম আইএসএফ কর্মীদের খণ্ডযুদ্ধে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা। ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল। দেখা যায়, বিধায়ক নওশাদকে টেনেহিঁচড়ে গাড়িতে তুলছে পুলিশ।

এই ঘটনার তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছে ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে আইএসএফের জোটসঙ্গী সিপিএম। সেলিম বিবৃতিতে বলেন, ‘‘ভাঙড়ে বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি, আইএসএফ কর্মী ও সাধারণ মানুষের ওপরে তৃণমূলের হামলার তীব্র নিন্দা করছি।’’ তিনি দাবি করেন, আইএসএফের মোট ১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভাঙড়েও তৃণমূলের তরফে হামলা হচ্ছে।

Advertisement

সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের অভিযোগ, ‘‘জমি দখল করার জন্য, জলাশয় ভরিয়ে প্রমোটিং করার জন্য সিন্ডিকেটের দখলদারির উদ্দেশে এই হামলা চালানো হচ্ছে।’’ এই আক্রমণের বিরুদ্ধে রাজ্যব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচির আহ্বান জানান সেলিম। একই সঙ্গে ভাঙড়েও এই হামলার ‘বড় আকারে প্রতিবাদ সংগঠিত হবে’ বলে জানিয়েছেন তিনি।

শনিবার আইএসএফের সভা পূর্বনির্ধারিত সভায় তীব্র উত্তেজনার অভিঘাত লাগে ধর্মতলার আশপাশেও। আইএসএফ কর্মী-সমর্থক এবং পুলিশের খণ্ডযুদ্ধে ঘণ্টাখানেকের জন্য থমকে যায় যান চলাচল। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ওই এলাকা।

তবে পুরো ঘটনার জন্য আইএসএফকেই দায়ী করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল ঘোরার পর কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল জানান, পুলিশকে বিনা প্ররোচনায় আক্রমণ করা হয়েছে। তাঁর দাবি, আন্দোলনকারীদের সংশ্লিষ্ট স্থানে বসতে বারণ করা হয়েছিল। তা-ও তারা বসেছিলেন। পুলিশ তুলতে গেলে তাদের আক্রমণ ধেয়ে আসে। কলকাতার পুলিশ কমিশনার আরও জানান, এই ঘটনায় পনেরো জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে রয়েছেন ডিসি সেন্ট্রাল, ডিসি সেন্ট্রাল-২, ডিসি সাউথ, বৌবাজার থানা এবং হেয়ার স্ট্রিট থানার আইসিও। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement